আবগারি করে কোথায় কত আয় কেন্দ্রের?
হিসেবে দেখা যায়, পেট্রোলের মাধ্যমে মোট এক্সাইজ ডিউটির ২০ শতাংশ আসছে কেন্দ্রের। আগে যা ছিল ২৬ শতাংশ৷ ডিজেলের মাধ্যমে ১৭.৬ শতাংশ আসে এক্সাইজ ডিউটির। কেন্দ্রের শুল্ক ছাড় দেওয়ার পর রাজ্য সরকারের ট্যাক্স তথা ভ্যাট চাপিয়ে যে করের পরিমাণ দাঁড়ায় তা পেট্রোলের ক্ষেত্রে ৩৭ শতাংশ, ডিজেলের ক্ষেত্রে ৩২ শতাংশ। কেন্দ্রের শুল্ক ছাড় দেওয়ার আগে এটি ছিল ৪২ শতাংশ৷
গত বছরও জ্বালানি র দাম কমিয়েছিল কেন্দ্র!
তবে এই প্রথম নয়, গত বছরের ৪ নভেম্বরও শুল্কে ছাড় দিয়েছিল মোদী সরকার। সেবার পেট্রোলের দাম কমেছিল প্রতি লিটার ৫ টাকা, ডিজেলের দাম কমেছিল ১০ টাকা। তবে এরপরই দাম বাড়তে শুরু করে পেট্রোপন্যের। চলতি বছরের মার্চ মাস থেকে শুরু করে মে মাস অবধি ডিজেলের দাম বাড়ে ১৩ টাকা, পেট্রোলের দাম বাড়ে ১৬ টাকা।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ দাম বাড়িয়েছে জ্বালানির!
বিশেষজ্ঞদের মতে, পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির জন্য আন্তর্জাতিক স্তরে যুদ্ধ পরিস্থিতি অনেকটাই দায়ী। ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেন আক্রমণ করে রাশিয়া৷ এরপরই বাড়তে শুরু করে তেলের দাম। প্রতি ব্যারেল তেলের দাম ৮৪ মার্কিন ডলার থেকে বেড়ে হয় ১৪০ ডলার। তাছাড়া এর আগে নভেম্বর মাসে শুল্কে ছাড় দেওয়ার পরেও তেল প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলি পেট্রোল ডিজেলের দাম কমায়নি। মূল্যবৃদ্ধির অন্যতম কারন সেটিও।
ক্ষমতায় এসে ২০১৪ থেকে ২০১৬ তে ন'বার জ্বালানির দাম বাড়িয়েছিল কেন্দ্র!
জ্বালানি তেলের শুল্ক থেকেই দেশের রাজকোষে প্রচুর অর্থ আসে। ২০১৪ সালে ক্ষমতায় আসার পর ওই বছরের নভেম্বর থেকে ২০১৬ সালের জানুয়ারি অবধি ন'বার দাম বাড়িয়েছে সরকার। সেই সময়ে পেট্রোলের দাম বেড়েছে ১১.৭৭ টাকা প্রতি লিটার। ডিজেলের দাম বেড়েছিল ১৩.৪৭ টাকা প্রতি লিটার৷ মাঝে ২০১৭ সালের অক্টোবর মাসে দু'টাকা, পরের বছর দেড় টাকা কর ছাড় দেওয়া হলেও ২০১৯ সালের জুলাই মাসে ফের দু'টাকা বাড়ানো হয় কর। ২০২০ সালের মার্চ মাসে ফের ৩ টাকা করে বাড়ে পেট্রোল, ডিজেলের দাম। ওই বছরেরই মে মাসে ১০ ও ১৩ টাকা করে বাড়ানো হয় পেট্রোল-ডিজেলের এক্সাইজ ডিউটি।