অভিমানী ঋদ্ধিমান
এই ইডেনেই রঞ্জি অভিষেকে শতরান করেছিলেন ঋদ্ধিমান। সেটা ২০০৭ সাল। কিন্তু নিজের রাজ্য়ের হয়ে ঘাম ঝরিয়ে কঠিন সময়েও পাশে পাননি বাংলার সিংহভাগ ক্রিকেট-কর্তাদের। উপেক্ষা, অপমানের কারণে পেশাদার পাপালির এখন আর ইডেন নিয়েও কোনও আবেগ নেই। রাজস্থান রয়্যালস ম্যাচে নামার আগে তাঁর সাফ জবাব, আমি এখন গুজরাত টাইটান্সের হয়ে খেলছি। তাই আমার কাছে হোম গ্রাউন্ড এখনই মোতেরাই। যেহেতু আমি কেকেআরের হয়ে খেলি না, তাই ইডেন আমার হোম গ্রাউন্ড নয়। ইডেনে বাংলার হয়ে ভবিষ্যতে তাঁকে খেলতে দেখা যাবে না সে প্রশ্নের কোনও উত্তর দেননি অভিমানী, ক্ষুব্ধ পাপালি।
সিএবির ভূমিকায় ক্ষোভ
তাঁর দায়বদ্ধতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা সিএবি যুগ্ম সচিব দেবব্রত দাস ক্ষমা না চাওয়ায় ঋদ্ধি বাংলা ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছেন বলে দাবি তাঁর ঘনিষ্ঠ মহলের। ঋদ্ধিমান এদিন বলেন, আমি ইডেনে অনেক ম্যাচ খেলেছি। কিন্তু এখন এসেছি অ্যাওয়ে ম্যাচ খেলতেই। ভারতীয় দল থেকে বাদ পড়া নিয়েও মাথা ঘামাচ্ছেন না ঋদ্ধিমান। তিনি বলেন, সব সময় আমার কাছে দলের স্বার্থই বড়, ব্যক্তিগত পারফরম্যান্স নয়। ভারতীয় দল নির্বাচন নিয়ে ভাবছি না কারণ এখানে এসেছি প্রথম কোয়ালিফায়ার খেলতে। আমাদের ফোকাস সেই ম্যাচেই। ব্যাটিং, কিপিংয়ে অবদান রেখে দলকে জেতানোই আমার লক্ষ্য থাকে প্রতি ম্যাচে। আমার কাছে এটাই প্রধান, ৫০ বা ১০০ করলে সেটা বোনাস।
গুজরাতে উপভোগ
ঋদ্ধিমান ওপেনিং পজিশনে ব্যাট করা উপভোগ করছেন। সে কথা জানিয়ে তিনি বলেন, আমার পক্ষে যেটা উপযুক্ত সেই ভূমিকাই এখানে পালনের দায়িত্ব পেয়েছি। আমি অল আউট যেতে ভালোবাসি। প্রথম ছয় ওভারে ঝুঁকি নিয়ে বেশি রান তোলাই লক্ষ্য। আগেও আইপিএল কোয়ালিফায়ার বা ফাইনাল খেলেছি। আমি তাই পরিবেশ সম্পর্কে ওয়াকিবহাল। কিন্তু অন্যগুলির মতো এটা আমার কাছে আরেকটা ম্যাচই। বাড়তি কিছু করার পরিকল্পনা নেই বলে জানিয়েছেন সম্প্রতি গ্যারি কার্স্টেন ও সচিন তেন্ডুলকরের কাছে প্রশংসা পাওয়া ঋদ্ধি।
|
ভিন্ন মেরুতে শামি
চলতি আইপিএলে পাওয়ারপ্লেতে সবচেয়ে বেশি উইকেট দখল করা মহম্মদ শামি এদিন বলেন, যে মাঠে নিজের অভিষেক হয়েছিল সেখানে খেলতে আসতে ভালোই লাগে। এই মাঠের সব কিছু চেনা, গ্যালারি ভর্তি দর্শকের সামনে খেলতে নামার বাড়তি প্রেরণা পাই। তিনি বলেন, স্লোয়ার, বাউন্সার-সহ নানা বৈচিত্র্যধর্মী বোলিংয়ের চেয়েও আমি বেশি গুরুত্ব দিই সঠিক জায়গায় বল রাখার। সেটা করতে পারলে যে ফরম্যাটেই খেলি না কেন ব্যাটারদের কাজ সহজ হবে না।