কী বলছে কেন্দ্রীয় তথ্য ?
৪০ শতাংশেরও বেশি ভারতীয়দের রান্নার জন্য পরিষ্কার জ্বালানী ব্যাবহারের সুবিধা পায়ন। প্রতি পাঁচ ভারতীয়র মধ্যে একজন ভারতীয় এখনও খোলামেলা মলত্যাগের করেন। জাতীয় পারিবারিক স্বাস্থ্য সমীক্ষার সার্ভের তথ্য দেশের আর্থ-সামাজিক ব্যবস্থার বাস্তব চিত্রকে যেন মারাত্মকভাবে ফুটিয়ে তুলেছে। কেন্দ্রীয় সরকারের দাবি।
গ্রামীন এলাকায় জ্বালানি ব্যাবহারের চিত্র
গ্রামীণ এলাকায় এই চিত্র আরও খারাপ। দেখা গিয়েছে যে গ্রামে এখনও ৫৭ শতাংশ মানুষ এলপিজি, প্রাকৃতিক গ্যাস এবং বিদ্যুৎ ব্যবহার করে রান্না করতে পারে না। ২৬ শতাংশ খোলা মলত্যাগ করেন। এছাড়াও, গ্রামাঞ্চলের ৫৬ শতাংশ মানুষ রান্নার জন্য কয়লা, কাঠ, কাঠকয়লা এবং ঘুঁটে ব্যবহার করেন।
এই ধরনের জিনিস ব্যাবহারের ফলে ওই সমস্ত জ্বালানি থেকে যে ধোঁয়া বের হয় তা শ্বাসনালির ক্ষতি করে। নরেন্দ্র মোদী সরকার ২০০৬ সালে প্রধানমন্ত্রী উজ্জ্বলা যোজনা চালু করেছিলেন যা ৪ কোটি পরিবারকে বিনামূল্যে এলপিজি সংযোগ এবং একটি সিলিন্ডার দেওয়ার কথা বলেছিল। চিত্র অন্য কথা বলছে। গ্রামীণ ভারতের পছন্দের জ্বালানী হল কাঠ এবং প্রায় ৪৪ শতাংশ পরিবার তা ব্যবহার করে।
এমনকি উন্নত দক্ষিণ এবং পশ্চিমের রাজ্যগুলিতে, ১৫ থেকে ৩০ শতাংশ পরিবার রান্নার জন্য এই ধরনের জ্বালানীই ব্যবহার করে এবং পূর্ব এবং মধ্যভারতের রাজ্যগুলিতে এই সংখ্যাটি ৬০ শতাংশের উপরে চলে গিয়েছে। এদিকে কেন্দ্রীয় সরকার দাবি করেছে যে পিএম উজ্জ্বলা স্কিমের জন্য নির্ধারিত লক্ষ্য ২০১৯ সালের আগস্ট মাসে পূর্ণ হয়েছিল। এর পরে কেন্দ্র আরও এক কোটি পরিবারকে এর আয়তায় অন্তর্ভুক্ত করার জন্য সিদ্ধান্ত নেয়।
সমস্যা কোথায় ?
বলা হচ্ছে , যে পরিবারগুলি প্রথমে বিনামূল্যের সিলিন্ডারের পেয়েছে তারা সিলিন্ডার রিফিল করতে অক্ষম । তাই তারা মাঝে মাঝে রিফিল করান কারণ একটি সিলিন্ডারের খরচ বহন করা তাঁদের পক্ষে সম্ভব নয়।
খোলা স্থানে মলত্যাগ
খোলামেলা স্থানে মলত্যাগের চিত্রও প্রায় একই রকম। দেখা যাচ্ছে যে ২০১৯ থেকে ২১ সালে উন্মুক্ত স্থানে মলত্যাগ করা পরিবারের শতাংশের হার ছিল ১৯ শতাংশ, যা ২০১৫ -১৬ সালে ছিল ৩৯ শতাংশ। তবে সেদিক থেকে উন্নতি সত্ত্বেও, গ্রামীণ ভারতের ২৬ শতাংশ পরিবারে খোলা স্থানে মলত্যাগ করে। ২০১৪ সালের অক্টোবরে খোলা স্থানে মলত্যাগ বন্ধ করার লক্ষ্য নিয়ে মোদী সরকার স্বচ্ছ ভারত মিশন চালু করে। তারপরেও ছবি বিশেষ বদল হয়নি, বিশেষ করে গ্রামের অবস্থা সত্যিই খারাপ।