সব সময়েই তিনি মাদ্রাসার বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছেন। এবার তিনি বললেন মাদ্রাসার শিক্ষা আদতে মানবাধিকারকে লঙ্ঘন করে। কারণ তিনি মনে করেন সঠিক পথে এগোনোর জন্য সঠিক শিক্ষার প্রয়োজন। সেটা সেটা মাদ্রাসায় হয় না। সেখানে ধর্মীয় শিক্ষা বেশি দেওয়া হয়। কম দেওয়া হয় প্রকৃত শিক্ষা। তাই তিনি মনে মাদ্রাসার শিক্ষা আদতে মানবাধিকারকে লঙ্ঘন করে।
অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা বলেছেন, যতদিন "মাদ্রাসা" থাকবে ততদিন শিশুরা ডাক্তার এবং ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার কথা ভাবতে পারবে না। আমি সর্বদা মাদ্রাসার অস্তিত্ব পুরোপুরি শেষ হওয়ার পক্ষে সমর্থন করি যেখানে প্রকৃত শিক্ষার চেয়ে ধর্মীয় শিক্ষাকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়।" ৫৩ বছর বয়সী এই নেতা টুইটারে এমনটাই লেখেন।
তিনি একটি ভিডিওও শেয়ার করেছেন যেখানে তাকে বলতে শোনা যায়: "এই মাদ্রাসা শব্দটি বিলুপ্ত হওয়া উচিত। যতক্ষণ না এই চিন্তাধারা থাকবে, ততদিন একটা শিশু ডাক্তার বা ইঞ্জিনিয়ার হতে পারবে না। যদি কোনও শিশুকে এখানে পড়াশোনা করার যে ফলাফল সেই সম্পর্কে বলা হয়, তবে সে সেখানে যেতেই আগ্রহী হবে না। প্রকৃত শিক্ষার এই যে মানব অধিকার তা লঙ্ঘন করে মাদ্রাসায় শিশুদের ভর্তি করা হচ্ছে।"
একইসঙ্গে তিনি বলেন , "কেউ বলছে না কোরান যা ইসলামের পবিত্র গ্রন্থ তা পড়াবেন না। তবে তার চেয়েও বেশি, একজন শিক্ষার্থীকে বিজ্ঞান, গণিত, জীববিদ্যা, উদ্ভিদবিদ্যা এবং প্রাণীবিদ্যা শেখানো উচিত," হিমন্ত বিশ্ব শর্মা একটি অনুষ্ঠানে এমন কথা বলেছিলেন। এরপর তিনি বলেন, "২-৩ ঘন্টা ধর্মীয় শিক্ষা দিন। কিন্তু স্কুলে একজন ছাত্রকে এমনভাবে শেখানো উচিত যাতে সে ইঞ্জিনিয়ার বা ডাক্তার হতে পারে।"
এত পর্যন্ত পড়লে মনে হবে কোথাও যেন যুক্তি দিয়ে কথা বলছেন হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। তবে এর পরে যা কথা বলেন তার কোনঅ যুক্তি কোনঅ বিশেষজ্ঞ খুঁজে পাবেন না। তিনি যে ইভেন্টে এইসব কথা বলছিলেন সেখানেই এক ব্যক্তির মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় মুখ্যমন্ত্রী যোগ করেন: "আপনি বলছেন যে মুসলমানদের যোগ্যতা রয়েছে কারণ তারা কোরান শেখে। আমি বলব সমস্ত মুসলিম একসময় হিন্দু ছিল, ভারতের সমস্ত মানুষ হিন্দু ছিল। যদি কোনঅ মুসলিম শিশু মেধাবী হয় তাহলে আমি তার হিন্দু অতীতকে কৃতিত্ব দেব।"
হিমন্ত বিশ্ব শর্মা মাদ্রাসার বিরুদ্ধে সব সময়েই কথা বলেন। ২০২০ সালে তিনি বলেছিলেন যে অসমের মাদ্রাসাগুলি হয় নিয়মিত স্কুলে রূপান্তরিত হবে নয়তোবা সেগুলি বন্ধ করে দেওয়া হবে। একই বছরে, রাজ্য সরকার উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যের সমস্ত সরকার-চালিত মাদ্রাসাগুলি ভেঙে দেওয়ার এবং সেগুলিকে সাধারণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে রূপান্তর করার সিদ্ধান্ত নেয়।