দুপক্ষেরই কথা শোনেন বারাণসী আদালতের বিচারপতিরা!
কিছুদিন আগেই দেশের সর্বোচ্চ আদালতে উঠেছিল জ্ঞানব্যাপী মসজিদ মামলার প্রসঙ্গ। সেই সময় সমীক্ষা রিপোর্ট প্রকাশ করা তথা মামলা নিয়েই মন্তব্য করতে চায়নি সুপ্রিম কোর্ট। দেশের শীর্ষ আদালত জানিয়েছিল, প্রথমে নিম্ন আদালত তথা জেলা আদালতে এই শুনানি হবে। উত্তরপ্রদেশের কোনও অভিজ্ঞ বিচারকের সামনে যাতে এই মামলা পেশ করা হয় সেই নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। সেই নির্দেশ অনুযায়ী-ই সোমবার শুনানি শুরু হয়েছিল। বারাণসী আদালতের বিচারপতিরা হিন্দু এবং মুসলিম, দুইপক্ষের কথাই শোনেন মোট ৪৫ মিনিট ধরে।
অঞ্জুমান ইন্তেজামিয়া মসজিদ কমিটির রক্ষণাবেক্ষনেই রয়েছে জ্ঞানব্যাপী!
এই মুহূর্তে জ্ঞানবাপী মসজিদটির দায়িত্বে রয়েছে অঞ্জুমান ইন্তেজামিয়া মসজিদ কমিটি। তাদের আইনজীবী প্রথমেই জানতে চান, হিন্দু আবেদনকারীদের এই মামলা আদৌ ১৯৯১ সালের প্রার্থনা আইন মেনে করা হয়েছে কিনা। তিনি আরও জানান, ১৯৩৬ থেকে মসজিদটিতে নিয়মিত নামাজ পাঠ করা হয়। অন্যদিকে হিন্দু আবেদনকারীরা দাবি করেন যাতে শুনানির অঙ্গ হিসেবেই মসজিদের সমীক্ষা রিপোর্ট, ভিডিও-ফটোগ্রাফ পেশ করা হয়৷ হিন্দু আবেদনকারীদের আইনজীবী বিষ্ণু জৈন বলেন, 'আদালতে শুনানি হয়ে গিয়েছে৷ এখনই কোনও সিদ্ধান্ত আসেনি। পরবর্তী শুনানির তারিখ দেওয়া হবে। আমরা আবেদন করেছি যাতে আমাদের সমীক্ষা রিপোর্ট এবং সিডি দেওয়া হয়।'
কী বলছে পুলিশ!
পুলিশ জানিয়েছে, শুনানি চলাকালীন মাত্র ২৩ জন উপস্থিত ছিলেন। এর মধ্যে ১৯ জন আইনজ্ঞ এবং ৪ জন আবেদনকারী ছিলেন৷ যদিও এই রকম সংবেদনশীল মামলার কোনও তথ্যই যাতে ভুলভাবে জনসমক্ষে না আসে তার পুরো ব্যবস্থা রাখছে যোগী রাজ্যের পুলিশ!