অনুপম হাজরার বিতর্কিত পোস্ট
ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংয়ের তৃণমূল কংগ্রেসে ফেরা নিয়ে তুমুল জল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছে। আজ অথবা কাল অর্থাৎ রবি অথবা সোমবারের মধ্যে অনুপম হাজরা তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিতে পারেন বলে জল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছে। এরই মাঝে সেই জল্পনা কয়েক গুণ বাড়িয়ে দিয়েছেন বিজেপি সাংসদ অনুপম হাজরা। তিনি নিজের ফেসবুক পোস্টে িলখেছেন, 'আগে পাণ্ডবদের মধ্যে একজন গণ্য করা হত। কিন্তু কৌরবদের মধ্যেও তাঁকে পাওয়া গেলে কতটা অবাক হব ঠিক বুঝতে পারছি না'। অনুপম হাজরার এই পোস্টে এক কথায় বুঝিয়েই দিয়েছেন ব্যারাকপুরের সাংসদ পা বাড়িয়ে রেখেছেন শাসক দলের দিকে।
বিদ্রোহী অর্জুন
গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই বিদ্রোহী হয়ে উঠেছেন অর্জুন সিং। পাটের দাম বৃদ্ধি নিয়ে প্রকাশ্যেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সমালোচনা করেছেন তিনি। প্রকাশ্যেই তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশংসা করেন অর্জুন সিং। তিনি বলেছিলেন পাটের দাম কমানো নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উদ্যোগী হয়ে যে প্রধানমন্ত্রী মোদীকে চিঠি লিখেছেন সেটা যথেষ্ট প্রশংসার যোগ্য। তার পরে থেকেই অর্জুনের ঘরওয়াপসি নিয়ে জল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু অর্জুন নিজে এই নিয়ে কোনও কথা বলেননি। আবার একেবারে সেই জল্পনা উড়িয়েও দেননি তিনি।
তৃণমূলে যোগদানের জল্পনা
গতকাল থেকে অর্জুন সিংয়ের তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদানের জল্পনা পারদ চড়েছে। সূত্রের খবর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্যামাকস্ট্রিটের অফিসে গিয়ে তিনি তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেবে। তবে তার আগে উত্তর ২৪ পরগনার নেতাদের সঙ্গে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বৈঠক করবেন বলে জানা গিয়েছে। অর্জুন সিং নিজেও ইতিমধ্যেই বিজেপি ছাড়ার কথা বলতে শুরু করে দিয়েছেন। কয়েক ঘণ্টা আগেই সাংবাদিক বৈঠক করে বিজেপি ছাড়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি।
বিজেপিকে নিয়ে ক্ষোভ
বিজেপির অন্দরে দ্বন্দ্ব নতুন কথা নয়। বেশ কয়েকজন বিজেপি নেতা থেকে সাংসদ বেসুরো হয়েছে। সেই তালিকায় এবার নাম লিখেছেন অর্জুন সিং। রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে মুকুল রায় একাধিক বিজেপি নেতা ঘরে ফিরে গিয়েছেন। এবার অর্জুনের পালা। তিনি নিজে সাংবাদিক বৈঠক করে বলেছেন,'পাটশিল্প নিয়ে কেন্দ্রকে অনেক সময় দেওয়া হয়েছে। একটা দিকে কাউন্টডাউন শুরু, একটা দিকে কাউন্টডাউন শেষ। বিজেপিতে থাকতে চাইছি না, নাকি বিজেপি আমায় ধরে রাখতে পারছে না। কারও প্রতি কোনও ক্ষোভ নেই। যে পাশে ছিল তাঁকেও ধন্যবাদ, যে বিরুদ্ধে ছিল তাঁকেও ধন্যবাদ। আমি পাটশিল্প নিয়ে লড়াই করেছি, মানুষ কাউন্সিলর থেকে সাংসদ করেছেন। তৃণমূলের জন্মলগ্ন থেকে আমি ছিলাম। রাজনীতিতে সবকিছু সম্ভব, শেষ বলে কিছু নেই। আমি এখনও বিজেপিতেই আছি। দিদির সঙ্গে আমার সম্পর্ক খারাপ-ভালর প্রশ্ন নেই। যাঁর সঙ্গে আজ বৈঠক করব, বাংলার ভালর জন্য বৈঠক করব। কেন্দ্রের সঙ্গে পাটশিল্প নিয়ে বৈঠক হয়ে গেছে, এবার রাজ্যর সঙ্গে করব। খারাপ দেখেও যদি কেউ ঠিক করতে না চায়, তাহলে ক্ষোভ তো জন্মায়।'