কী ঘটেছিল:
টিম ডেভিড'কে প্রথম বলেই প্রায় প্যাভিলিয়নের রাস্তা দেখিয়ে দিয়েছিলেন শার্দূল ঠাকুর। তাঁর বল ডেভিডের ব্যাটে খোঁচা লেগে জমা পরে ফিল্ডারের হাতে। শার্দূলের পাশাপাশি জোড়ালো আবেদন করেন দিল্লি ক্যাপিটালসের অধিনায়ক ঋষভ পন্থও। কিন্তু আম্পায়ার সেই আবেদন কর্ণপাতও করেননি। সরাসরি নট আউট জানিয়ে দেন। এর পর অনেকক্ষণ সতীর্থ খেলোয়াড়দের সঙ্গে কথা বলেও রিভিউ নেন না ঋষভ। পরে রিপ্লে-তে দেখা যায় কত বড় ভুল ঋষভল করেছেন। বল ব্যাটের কানায় লেগেই ফিল্ডারের হাতে জমা পড়েছিল সেই ছবি পরিস্কার হয়, একই সঙ্গে অযোগ্য, অপদার্থ আম্পায়ারদের দিয়ে ম্যাচ পরিচালনা কী ভয়ঙ্কর হতে পারে তা আবারও প্রমাণিত হল।
দিল্লি ক্যাপিটালসের সিদ্ধান্তহীনতার সমালোচনায় শাস্ত্রী:
ম্যাচের শেষে ভারতীয় দলের প্রাক্তন কোচ আইপিএল-এর বেসরকারি সম্প্রচারকারী সংস্থাকে বলেন, "সাধারণ বুদ্ধি কী বলে? ঋষভ পন্থ এবং শার্দূল ঠাকুর ওখানে ছিল, কিন্তু বাকিরা কী করছিল। সাধারণ বুদ্ধা বলে পাঁচ ওভার এখনও বাকি, হাতে দু'টো রিভিউ রয়েছে, তুমি একটা উইকেট নিয়েছ, টিম ডেভিড সবে এসেছে এবং তোমার সামনে সুযোগ রয়েছে, সেটা (সেই সুযোগ) তোমাকে নিতে হবে।"
ব্যর্থতার সম্পূর্ণ দায় দিল্লির স্বয়ং:
রবি শাস্ত্রীর আরও সংযোজন, " কোনও কিছুকে নয়, ওরা শুধু নিজেদেরই দোষারোপ করতে পারে এই ব্যর্থতার জন্য। কোনও অজুহাত নয়, তুমি কোনও কিছুর পিছনে লুকতে পারো না, তুমি হেরে গেছো। আরসিবি-ই যোগ্য, প্লে-অফে কোয়ালিফাই করার যোগ্য নও তোমরা।"
রিভিউ না নেওয়ার নেপথ্যে ঋষভ পন্থের যুক্তি:
ম্যাচের শেষে বিধ্বস্ত পন্থ জানান কেন তিনি ওই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে রিভিউ নেননি। পন্থ বলেন, "আমার মনে হয়েছিল কিছু একটা হয়েছে কিন্তু সার্কেলের মধ্যে থাকা ফিল্ডারদের সকলে এই বিষয়ে একমত ছিল না, তাই আমি ওদের জিজ্ঞাসা করছিলাম যে আমরা কী সিদ্ধান্ত পুনঃবিবেচনার জন্য উপরে পাঠাবো এবং শেষ পর্যন্ত আমি রিভিউ নিইনি।"