জম্মু-কাশ্মীরের রামবান টানেল ধস: সুড়ঙ্গের ধ্বংসাবশেষ থেকে দশটি মৃতদেহ উদ্ধার

বৃহস্পতিবার জম্মু ও কাশ্মীরের রামবানে ধস একটি নির্মীয়মান সুড়ঙ্গে। নির্মীয়মান ওই সুড়ঙ্গের ধ্বংসাবশেষ থেকে দশটি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। জম্মু-শ্রীনগর জাতীয় মহাসড়কের একটি সুড়ঙ্গের দশজন শ্রমিক আটকে পড়েছিল। পুলিশ, সেনাবাহিনী ও বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের তরফে এই উদ্ধার অভিযান চালানো হয়।

রামবান টানেল ধস: সুড়ঙ্গের ধ্বংসাবশেষ থেকে ১০ দেহ উদ্ধার

রাজ্য এবং জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর তরফে জানানো হয়, ১০টি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে এবং পরিবারগুলিকে জানানো হয়েছে। ১০টি মৃতদেহের মধ্যে পাঁচটি পশ্চিমবঙ্গের। একইসঙ্গে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে এই অপারেশনটি সম্পূর্ণ হয়েছে। মৃতদেহগুলিকে হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। জেলা আধিকারিক মুসারাত ইসলাম এই খবর জানিয়েছে।

রামবান জেলা পুলিশ সুপার মোহিতা শর্মা জানান, "আরও একটি লাশ দেখা গেছে। বোল্ডার সরানোর জন্য মেশিন ব্যবহার করা হয়েছে। আমরা এই উদ্ধার অভিযানের প্রায় শেষের দিকে চলে এসছিলাম তখন। সেই মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। এবং সমস্ত মৃতদেহ উদ্ধার করে হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।

শুক্রবার প্রথম মৃতদেহ পাওয়া যায়। সেই মৃতদেহ ছিল বাংলার এক শ্রমিকের। তারপরও বাকি সব মৃতদেহ উদ্ধার হয় একে একে। বৃহস্পতিবার রাত ১০টা ১৫ মিনিট নাগাদ জম্মু ও কাশ্মীরের রামবন জেলার খুনি নালার কাছে হাইওয়েতে টি ৩-এর অডিট টানেলটি কাজ শুরু করার সময় ধসে পড়ে। তখনই ঘটে গুরুতর বিপত্তি।

ঘটনার পরপরই উদ্ধার কাজ শুরু হয়েছিল। ভূমিধস বা অন্যান্য প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে পাহাড়ের পাদদেশে আঘাতপ্রাপ্ত হওয়ার আশঙ্কা থেকে শুক্রবার তা স্থগিত করা হয়েছিল। মাকেকোট এলাকায় একটি পাহাড়ের অংশ ধসে পড়ে এবং উদ্ধার অভিযানে বিরত রাখতে হয়। ধ্বংসাবশেষে অনেকেই চাপা পড়েছিল। তাঁদের মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।

ঘটনাটি অপ্রত্যাশিত ছিল এবং আবহাওয়ার প্রতিকূলতায় প্রায় ১৭ ঘন্টা পর্যন্ত উদ্ধার কাজ প্রভাবিত হয়েছিল। উদ্ধারকাজের জন্য দুটি ভারী মেশিনও আটকে পড়ে। এদিন সেই মেশিন উদ্ধার করা হয়। যে সমস্ত মৃতদেহ ধ্বংসাবশেষের নীচে আটকে পড়েছিল, তা উদ্ধার করা হয়। সব মিলিয়ে ১০টি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।

উদ্ধার হওয়া শ্রমিকদের মধ্যে পাঁচজন পশ্চিমবঙ্গের। তারা হলেন- যাদব রায় (২৩), গৌতম রায় (২২), সুধীর রায় (৩১), দীপক রায় (৩৩) এবং পরিমল রায় (৩৮)।জম্মু ও কাশ্মীরের দু'জন হলেন মুজাফফর (৩৮) এবং ইসরাত (৩০)। অসমের একজন হলেন শিব চৌহান (২৬)। বাকি দুই মৃতদেহ নবরাজ চৌধুরী (২৬) এবং কুশি রাম (২৫) হলেন নেপালের বাসিন্দা। জম্মু ও কাশ্মীরের লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিনহা একটি কন্ট্রোল রুম থেকে অপারেশন তত্ত্বাবধান করেন। তারপর প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় এই উদ্ধার হওয়া মৃতদের নাম ও ঠিকানা।

More DEATH News  

Read more about:
English summary
All ten dead-bodies recovered by officials after Ramban tunnel collapse of Jammu and Kashmir.