তৃণমূল প্রার্থীর নির্বাচনী পিটিশন খারিজের নির্দেশ
বাংলােদশের ভোটারলিস্টে নাম রয়েছে বনগাঁ দক্ষিণের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী আলোরানি সরকারের। এই নিয়ে গত কয়েকদিন ধরেই তপ্ত রাজ্যরাজনীতি। বিজেপির পক্ষ থেকে তাঁর নির্বাচনী পিটিশন খারিজের আবেদন জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল। সেই মামলাতেই কলকাতা হাইকোর্ট শেষ পর্যন্ত বনগাঁ দক্ষিণের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী আলোরানি সরকারের নির্বাচনী পিটিশন খারিজের নির্দেশ দিয়েছে। তাতে কিছুটা হলেও চাপ রয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের উপরে।
তৃণমূল কংগ্রেসকে নিশানা
এই নিয়ে বিজেপি এবং তৃণমূল কংগ্রেসের মধ্যে হত কয়েকদিন ধরেই চলছে টানাপোড়েন। শুভেন্দু অধিকারী অভিযোগ করেছেন তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থীর নাম রয়েছে বাংলাদেশের ভোটার লিস্টে। আলোরানি নিজেকে ভারতীয় বলে দাবি করতে পারেন না বলে পর্যবেক্ষণে বলেছিল আদালতের। গত বিধানসভা ভোটে বনগাঁ দক্ষিণ কেন্দ্রের প্রার্থী ছিলেন আলোরানি সরকার। বিজেপি প্রার্থী স্বপন মজুমদারের কাছে ২ হাজার ৪ ভোটে পরাজিত হন তিনি। এরপরই হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন বিজেপি বিধায়ক।
শুভেন্দুর নিশানা
আলোরানি সরকারের বাংলাদেশে ভোটারলিস্টে নাম থাকা নিয়ে শুভেন্দু অধিকারী একের পর এক আক্রমণ শানিয়ে গিয়েছেন। টুইটে তিনি লিখেছেন,'তৃণমূল কংগ্রেস সংবিধানের ২৯-এ ধারার ৫ নম্বর উপ ধারা অনুসারে জনপ্রতিনিধিত্ব আইনের বিধি লঙ্ঘন করেছে। একজন বিদেশি নাগরিককে নির্বাচিত করার চেষ্টা হয়েছে। ভারতীয় সংবিধান অনুযায়ী তারা দেশের সার্বভৌমত্ব, ঐক্য ও সংহতি নষ্টের চেষ্টা করেছে। এ ধরনের রাজনৈতিক দলের রেজিস্ট্রেশন কী বাতিল করা উচিত নয়? ' শুভেন্দু অধিকারী প্রশ্ন তুলেছেন, ' যাঁকে তৃণমূল কংগ্রেস দলের বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি নিয়োগ করা হয়। এর পরেও বলবে, যে দল জানত না? কোনো অজ্ঞাত পরিচয়ের ব্যক্তিকে এই রকম গুরু দায়িত্ব দেওয়া যায়? এই দলের নিবন্ধীকরণ কেনো বাতিল করা হবে না? '
এসএসসি জটে জর্জরিত তৃণমূল
একদিকে বনগাঁ তৃণমূল প্রার্থীর নির্বাচনী পিটিশন খারিজ আরেক দিকে এসএসএসসি মামলা। একের পর এক মামলায় জর্জরিত তৃণমূল কংগ্রেস। দলের মহাসচিবকে তলব করেছে সিবিআই। চলছে দফায় দফায় জেরা। রাজ্যের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর বিরুদ্ধে জোড়া এফআইআর দায়ের হয়েছে। এমনকী তাঁকে এই নিয়ে তিনবার জেরা করছে সিবিআই। খারিজ হয়ে গিয়েছে মন্ত্রীর মেয়ের চাকরি।