রাজীব গান্ধীর প্রয়াণ দিবসে বিতর্কিত টুইট করে বসলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। টুইটে তিনি লিখেছেন, 'একটি বৃক্ষের পতন হলে ভূমি কাঁপে'। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য ইন্দিরা গান্ধীর মৃত্যুর পর শিখ দাঙ্গার সময় এই মন্তব্য করতে শোনা গিয়েছিল রাজীব গান্ধীকে। সেসময় রাজীব গান্ধীর এই মন্তব্য নিতে তুমুল বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। রাজীব গান্ধীর সেই মন্তব্য অধীর চৌধুরীর টুইটে দেখার পর থেকে শোরগোল পড়ে গিয়েছিল। এই নিয়ে তুমুল সমালোচনা শুরু হয়। তার পরেই আবার টুইট করে তাঁর বক্তব্যের ব্যাখ্যা গিয়েছেন অধীর চৌধুরী। তিনি লিখেছেন এর মধ্যে বিতর্ক তৈরি করার কিছু নেই পুরোটাই তিনি তাঁর দৃষ্টিভঙ্গিক দিক দিয়ে লিখেছেন।
আজ দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীর মৃত্যু দিবস। তাঁর স্মৃতি সৌধে সকালেই শ্রদ্ধা জানিয়েছেন সোনিয়া গান্ধী, রাহুল গান্ধী। এমনকী প্রধানমন্ত্রী মোদীও শ্রদ্ধা জানিয়ে এসেছেন। কংগ্রেস এই দিনটিতে উদযাপন করছে গোটা দেশে। এদিকে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির এই টুইট শোরগোল ফেলে দিয়েছে রাজনৈতিক মহলে। ভারতীয় জনতা পার্টির যুব মোর্চার পক্ষ থেকে পাল্টা টুইট করে েলখা হয়েছে, এই বক্তব্য একেবারেই লেখা উচিত হয়নি তাঁর। এর মধ্যে উদ্দিপনা তৈরির কোনও উদ্দেশ্যই নেই। ১৯৯৪-র শিখ দাঙ্গায় যে নৃশংস হত্যালীলা চলেছিল সেটাকে সমর্থন করা হয়েছে এই টুইটে।
এটা অত্যন্ত লজ্জাজনক যে কংগ্রেস এখনও শিখ দাঙ্গার জন্য গর্বিত এবং সেটাকে সমর্থন করেন। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য শিখ দেহরক্ষীর হাতে মারা গিয়েছিলেন দেশের জনপ্রিত প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী। তারপরেই গোটা দেেশ শিখদের উপরে নির্যাতন বেড়েছিল। প্রায় ৩০০০ শিখ খুন হয়েছিলেম এই দাঙ্গায়। তখনই রাজীব গান্ধী বলেছিলেন এই কথা। তাই নিয়ে তুমুল সমালোচনা তৈরি হয়েছিল। সেই বক্তব্যকেই অধীর চৌধুরীর ফের টুইট করায় নতুন করে সমালোচনা শুরু হয়ে গিয়েছে।
পাঞ্জাবের বিধানসভা নির্বাচনের আগে থেকেই কংগ্রেকে শিখ দাঙ্গা নিয়ে নিশানা করতে শুরু করেছিল বিজেপি। যদিও প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির এই বিতর্কিত টুইট এই প্রথম নয়। এর আগেও একাধিকবার বিতর্কিত টুইট করেছেন তিনি। ২০১৬ সােল অধীর চৌধুরীর সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট ঘিরে শোরগোল পড়ে গিয়েছিল। শেষে কংগ্রেসের পক্ষ থেকে সেই পোস্ট ডিলিট করা হয়। অধীর চৌধুরী দাবি করেছিলেন তাঁর বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।