পরাস্ত সিন্ধু
অলিম্পিকে জোড়া পদকজয়ী সিন্ধু কোয়ার্টার ফাইনালে হারিয়েছিলেন বিশ্বের ১ নম্বর তারকা শাটলার জাপানের আকানে ইয়ামাগুচিকে। ষষ্ঠ বাছাই সিন্ধু ৫১ মিনিটের মধ্যে জয় ছিনিয়ে নিয়েছিলেন ২১-১৫, ২০-২২, ২১-১৩ ব্যবধানে। সেমিফাইনালে তাঁর সামনে ছিলেন অলিম্পিক চ্যাম্পিয়ন চেন। আজকের আগে চেন ও সিন্ধু পরস্পরের মুখোমুখি হয়েছিলেন ১০ বার। সিন্ধু ৬টিতে এবং চেন চারবার জয়লাভ করেছিলেন। সেমিফাইনালে জেতার ফলে সিন্ধুর সঙ্গে সেই ব্যবধানও কমিয়ে ফেললেন চিনের শাটলার।
কমল ব্যবধান
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে শেষবার চেন ও সিন্ধু পরস্পরের মুখোমুখি হয়েছিলেন বিডব্লুএফ ট্যুর ফাইনালসে। সেবারও সিন্ধুকে হারিয়ে দিয়েছিলেন চেন। সেবার তিনি জয়লাভ করেছিলেন ২০-২২, ২১-১৬, ২১-১২ ব্যবধানে। আজ অবশ্য তিনি স্ট্রেট গেমে উড়িয়ে দিলেন সিন্ধুকে। এবারের তাইল্যান্ড ওপেনে সিন্ধু প্রথমে হারিয়েছিলেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের লরেন লামকে, খেলার ফল ছিল ২১-১৯, ১৯-২১, ২১-১৮। দ্বিতীয় রাউন্ডে তিনি ২১-১৬, ২১-১৩ ব্যবধানে হারান দক্ষিণ কোরিয়ার সিম ইউ জিনকে। এরপর কোয়ার্টার ফাইনালে ইন্দ্রপতন ঘটান ইয়ামাগুচিকে ছিটকে দিয়ে।
প্রথম গেম একপেশে
আজ প্রথম গেমে একটা সময় অবধি খেলার ফল ছিল ৩-৩। কিন্তু এরপর থেকে ব্যবধান বাড়াতে থাকেন চেন। সিন্ধু লড়াই চালিয়ে একটা সময় স্কোর ১৫-১৭ করেও ফেলেন। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। দ্বিতীয় গেমসের শুরু থেকে অবশ্য সিন্ধু-গর্জন অনুভূত হতে থাকে। একটা সময় সিন্ধু ১০-৫ ব্যবধানে এগিয়ে যান। কিন্তু পাল্টা লড়াই চালিয়ে স্কোর ১১-১১ করে ফেলেন চেন।
|
এগিয়েও হলো না শেষরক্ষা
দ্বিতীয় গেমে পিছিয়ে পড়ার পর থেকে সিন্ধু অবশ্য একবারও আর চেনকে টপকাতে পারেননি। শেষ অবধি ২১-১৬ ব্যবধানে সিন্ধুকে হারিয়ে ফাইনালের টিকিট আদায় করে নেন অলিম্পিক চ্যাম্পিয়ন।