এএফসি কাপের মরণ-বাঁচন ম্যাচে তরতরিয়ে এগলো পালতোলা নৌকা। শনিবার বিকেল থেকে শুরু হওয়া সাইক্লোন এবং প্রবল ঝড়-বৃষ্টির মধ্যে ম্যাচ আদৌ হবে কি না, সেই নিয়েই তৈরি হয়ে গিয়েছিল সংশয়। অবশেষে আকাশে কালো মেঘের ঘনাঘটা থাকলেও উঠাল-পাথাল পরিবেশের মধ্যে দিয়ে পালতোলা নৌকা এগিয়ে চলল চিরাচরিত মেজাজে। লিস্টন কোলাসোর হ্যাটট্রিকের উপর ভর করে মাস্ট উইন ম্যাচে বসুন্ধরা কিংসকে এটিকে মোহনবাগান পরাজিত করল ৪-০ ব্যবধানে।
এ দিন ঝড় বৃষ্টির মধ্যে ম্যাচ শুরু হলেও প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে দীর্ঘ সময় বন্ধ ছিল ম্যাচ। অনেকক্ষণ খেলা বন্ধ থাকার পর ফের শুরু হয় ম্যাচ। বৃষ্টিস্নাত যুবভারতীতে ফের বল গড়াতেই ঝলসে উঠল এটিকে মোহনবাগান। লিস্টন কোলাসোর একক দক্ষতায় এ দিন নাস্তানাবুদ হল বসুন্ধরা কিংস। এ দিন ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলে এটিকে মোহনবাগান। ম্যাচের ২৪ মিনিটে লিস্টন কোলাসো প্রথম গোল করে এগিয়ে দেন এটিকে এমবিকে। এই গোলের দশ মিনিটের মধ্যে ফের গোল পায় এটিকে মোহনবাগান। এই ক্ষেত্রেও গোলদাতা লিস্টন কোলাসো। প্রথমার্ধ শেষে খেলার ফল ছিল ২-০।
যেই ঝাঁঝ প্রথমার্ধে এটিকে মোহনবাগানের তরফ থেকে দেখা গিয়েছিল, সেই একই ঝাঁঝ দেখা যায় দ্বিতীয়ার্ধেও। দ্বিতীয়ার্ধের প্রথম মিনিট থেকেই ঝলসে ওঠে এটিকে মোহনবাগান। ৫৩ মিনিটে নিজের হ্যাটট্রিক পূর্ণ করে লিস্টন কোলাসো এটিকে মোহনবাগানকে এগিয়ে দেন ৩-০ গোলে। তিন গোলে পিছিয়ে থাকলেও বসুন্ধরা আক্রমণ থেকে যে সরে এসেছিল তা নয়। বাংলাদেশের দলটি চেষ্টা জারি রাখে ম্যাচে ফিরে আসার। কিন্তু তাদের ডিফেন্সের ব্যর্থতা অস্কার ব্রুজনের দলকে ডোবায়। ম্যাচের ৭৭ মিনিটে ডেভিড উইলিয়ামস এটিকে মোহনবাগানের চতুর্থ গোলটি করে বসুন্ধরার কফিনে শেষ পেরেকটি পুঁতে দেন।
এই ম্যাচে জয়ের ফলে এক ধাক্কায় এটিকে মোহনবাগান শীর্ষ স্থানে উঠে আসে। ২ ম্যাচে ১টি জয় পেয়ে তাদের পয়েন্ট তিন। ১ ম্যাচে ১ জয় নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে গোকুলাম কেরল। ২ ম্যাচে ৩ পয়েন্ট নিয়ে বসুন্ধরা কিংস রয়েছে তিন নম্বরে এবং মাজিয়া স্পোর্টস অ্যান্ড রিক্রিয়েশন প্রথম ম্যাচে হেরে কোনও পয়েন্ট না পেয়ে গ্রুপ 'ডি'-এর শেষে রয়েছে।