শান্তি প্রসাদ সিনহার নামে এফআইআর
এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আগেই নাম জড়িয়েছিল শান্তি প্রসাদ সিনহার। এসএসসির উপদেষ্টা কমিটির সদস্য ছিলেন তিনি। তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের অনুমোদনেই তৈরি করা হয়েছিল এই উপদেষ্টা কমিটি। তাতে শান্তি প্রসাদ সিনহা, কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়, সমরজিৎ আচার্য, সৌমিত্র সরকার ও অশোক সাহার। তাঁদের বিরুদ্ধে এফআইআর করেেছ সিবিআই। ততে বিশেষ করে শান্তি প্রসদ মুখোপাধ্যায়ের নাম বিশেষ করে উল্লেখ করা হয়েছিল। কারণ তাঁর সুপারিশেই নিয়োগ করা হত এসএসসিতে।
৪ ঘণ্টা জেরা পরেশ অধিকারীকে
এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তৃতীয়বার জেরা করা হচ্ছে রাজ্যের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীকে। প্রায় ৪ ঘণ্টা জেরা করা হয়েছে পরেশ অধিকারীকে। পর পর তিনদিন পরেশ অধিকারীকে জেরা করছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। গত বৃহস্পতিবার থেকে তাঁকে দফায় দফায় জেরা চলছে। পরেশ অধিকারীর বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার করে নিজের মেয়েকে চাকরি দেওয়া অভিযোগ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে আদালত অবমাননার অভিযোগও করা হয়েছে পরেশ অধিকারীর বিরুদ্ধে।
পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে জেরা
এর আগে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে বেশ কয়েক দফায় জেরা করেছেন সিবিআই আধিকারীকরা। আরও কয়েকবার তাঁকে জেরা করা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই রক্ষাকবচের আবেদন করেছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়, কিন্তু কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ তার অনুমতি দেয়নি। ফলে নতুন করে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গ্রেফতারির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এই নিয়ে জল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছে বিভিন্ন মহলে।
বাগ কমিটির চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট
এসএসসির গ্রুপ সি-র নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতি মমলায় বাগ কমিটি যে রিপোর্ট দিয়েছিল তাতে এসএসসির প্রাক্তন উপদেষ্টা শান্তিপ্রসাদ সিনহার নাম উল্লেখ করা হয়েছিল। শান্তি প্রসাদ সিনহার বিরুদ্ধে এফআইআর দােয়রের অনুরোধ জনানো হয়েছিল। তাতে বলা হয়েছিল শান্তি প্রসাদ সিনহার নির্দেশেই ভুয়ো প্যানেল তৈরি করা হল। সেই প্যানেলে যাঁদের নাম থাকত তাঁদের ওএমআর শিট নষ্ট করে দেওয়া হত যাতে কোনও প্রমাণ না থাকে। তাঁর নির্দেশেই বাকি আধিকারীকরা কাজ করতেন বলে জানা গিয়েছে।