২০২৪-এ বিজেপিকে হারাতে কংগ্রেসের ধরনা ধরেছিলেন প্রশান্ত কিশোর। কিন্তু প্রশান্ত কিশোরের সঙ্গে কংগ্রেসের সেই সখ্যতা শুরু হওয়ার আগেই ভেঙে যায়। আর এই সখ্যতা ভেঙে যাওয়ার অন্যতম কারণ মনে করা হয় সমমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও কেসিআরের সঙ্গে প্রশান্ত কিশোরের চুক্তি। এই পরিস্থিতিতে প্রশান্ত কিশোরের পরামর্শে কেসিআর মোদীর বিরুদ্ধে জোটকে শক্তিশালী করতে ভারত-ভ্রমণে বেরোচ্ছেন। আসছেন বাংলাতেও। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কেসিআরের সাক্ষাতে তৈরি হতে পারে নতুন সমীকরণ।
আর এই কাজে এবার প্রধান পরামর্শদাতার ভূমিকা নিতে চলেছেন প্রশান্ত কিশোর। প্রশান্ত-পরামর্শে শুক্রবারই দিল্লি গিয়েছেন কেসিআর। তারপর যাবেন পাঞ্জাবে। তাঁর ভারত-ভ্রমণে মহারাষ্ট্র, তামিলনাড়ু, ঝাড়খণ্ড, বিহার হয়ে তিনি আসবেন বাংলায়। অর্থাৎ গোটা ভারতের মন বুঝে তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে আসবেন।
রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের আগে জোটবদ্ধ হওয়া এবং ২০২৪-এর আগে বিরোধী ঐক্যের দৃষ্টান্ত তুলে ধরাই মূল লক্ষ্য কেসিআর বা মমতার। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বিরোধী শিবিরে যোগ্য প্রার্থী বাছাই এবং ঐক্যমত্য গড়ে তোলাই তাঁদের লক্ষ্য। সেই কারণেই অ-বিজেপি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও অ-বিজেপি জোটের দলগুলির সুপ্রিমো বা শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে কথা বলে একটা সহমতে পৌঁছনোর চেষ্টা করছেন কেসিআর বা মমতা।
শুক্রবার যে সফর শুরু করেছেন কেসিআর, তা প্রথম দফায় চলবে ৩০ মে পর্যন্ত। তারপর তিনি দ্বিতীয় দফায় কোন কোন রাজ্যে সফরে যাবেন, তা এখনও স্থির হয়নি। প্রথম দফায় যে সমস্ত রাজ্যে তিনি সফর করেছন বা করতে চলেছেন, সেই সমস্ত রাজ্যের মধ্যে নেই কংগ্রেস-শাসিত কোনও রাজ্য। রাজস্থান বা ছত্তিশগড়কে কেসিআর রাখেননি তাঁর সফর তালিকায়।
শনিবার পাঞ্জাবে একটি অনুষ্ঠানে কেসিআরের সঙ্গে থাকার কথা দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল এবং পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মানের। কেন্দ্রের তিন কৃষি বিলের বিরুদ্ধে নিহত কৃষকদের পরিবারকে তিন লাখ টাকা করে আর্থিক সহায়তা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তিনি। চণ্ডীগড়ে একটি অনুষ্ঠানে তিন মুখ্যমন্ত্রী তা তুলে দেন কৃষক পরিবারের হাতে।