|
মুকেশদের প্রশংসায় মাহি
মুকেশ চৌধুরী, মাথিশা পাথিরানা, প্রশান্ত সোলাঙ্কিদের পারফরম্যান্স সন্তুষ্ট করেছে ধোনিকে। চেন্নাই সুপার কিংসের অধিনায়ক বলেন, যে ম্যাচগুলিতে এই ক্রিকেটাররা সুযোগ পেয়েছেন, প্রত্যেকেই তা থেকে অনেক কিছু শিখেছেন। সবচেয়ে বড় উদাহরণ মুকেশ। সব ম্যাচ খেলেছেন তিনি, তবে যেটা গুরুত্বপূর্ণ প্রথম ম্যাচ থেকে শেষ ম্যাচ অবধি তিনি লাগাতার উন্নতি করেছেন। বিশেষ করে ডেথ ওভারে মুকেশের বোলিংয়ের প্রশংসা শোনা গিয়েছে ধোনির কথায়। ধোনি আশাবাদী, মুকেশ-সহ সব ক্রিকেটারই এবারের টুর্নামেন্ট থেকে প্রাপ্ত শিক্ষাকে সম্বল করে নিজেদের আরও উন্নত করেই আগামী বছর নামবেন।
|
'আমাদের মালিঙ্গা'
তরুণ ক্রিকেটাররা যেভাবে সুযোগের সদ্ব্যবহার করে নিজেদের উজাড় করে দিয়েছেন, তা দেখে খুশি এমএসডি। মাথিশা পাথিরানাকে 'আমাদের মালিঙ্গা' বলেও অভিহিত করেন ধোনি। শ্রীলঙ্কার এই পেসারের বোলিং অ্যাকশনের সঙ্গে লাসিথ মালিঙ্গার দারুণ মিল। ধোনি বলেন, আমাদের মালিঙ্গা খুব ভালো। তাঁর বোলিং সম্পর্কে আঁচ করা কঠিন, আগামী বছর পাথিরানা আমাদের দলের হয়ে বড় অবদান রাখবেন। ধোনি, রবীন্দ্র জাদেজা, অম্বাতি রায়ুডুদের এবার চেনা ছন্দে পাওয়া যায়নি। দীপক চাহারের চোটের কারণে ছিটকে যাওয়াও বোলিং শক্তি দুর্বল করেছিল। দলের ব্যর্থতা প্রসঙ্গে ক্যাপ্টেন কুল বলেন, আমরা মাঝেমধ্যে ভালো খেলেছি, ব্যক্তিগতভাবে কেউ ভালো খেলেছেন। কিন্তু দলগতভাবে ভালো খেলেটা সবার আগে জরুরি। যখনই কেউ সুযোগ পাবেন, তা সে ব্যাটার বা বোলার যে হোন না কেন, সকলের উচিত সুযোগের সদ্ব্যবহার করে নিজেদের সেরাটা দেওয়া এবং প্রতি ক্ষেত্রেই শিক্ষা নেওয়া।
|
শেখার উপর জোর
ধোনির কথায়, এটা এক বছরের টুর্নামেন্ট নয়। বছরের পর বছর ধরে চলবে। ফলে শেখার মাধ্যমেই একজন ক্রিকেটার পরিণত হন। সেই সুবাদে ধাপে ধাপে ১০-১২ বছরের মধ্যে আইপিএলের বড় তারকা হওয়া সম্ভব। তরুণ ক্রিকেটারদের কাছ থেকে এটাই যে প্রত্যাশিত তা স্পষ্ট করে দেন মাহি। গতকালের ম্যাচে মঈন আলি যেভাবে ঝোড়ো শুরু করেছিলেন, পরের দিকে রান তোলার গতি কমিয়ে দেন। এর কারণ প্রসঙ্গে ধোনি বলেন, আমাদের একজন ব্যাটার কম ছিল। ফলে দ্রুত উইকেট হারানোয় মঈনকে খেলার মোমেন্টাম বদল করতে হয়। একজন ব্যাটার তাঁকে যোগ্য সঙ্গত দিলে ব্যাটিংয়ের মেজাজে পরিবর্তন দরকার ছিল না বলেই উপলব্ধি ধোনির। কিন্তু তা না হওয়ায় প্রয়োজনের তুলনায় ১০-১৫ রানের কম পুঁজি নিয়েই লড়াই চালাতে হয় বলে দাবি সিএসকে অধিনায়কের।
|
হেডেনের অভিমত
এদিকে, ধোনির আগামী বছর অধিনায়ক থাকা নিয়ে ভিন্নমত ম্যাথু হেডেন ও সুনীল গাভাসকর। হেডেনের কথায়, যিনি ২০০ রান করেছেন এবং স্ট্রাইক রেট ১২৮ তাঁকে অধিনায়ক রাখা হবে কিনা এটা ফ্র্যাঞ্চাইজিদের ব্যাপার। তবে এখনও ধোনির পাওয়ার রয়েছে, উইকেটের পিছনে ভালো রিফ্লেক্স রয়েছে। রানিং বিট্যুইন দ্য় উইকেটস এখনও অসাধারণ। আইপিএলে সবচেয়ে অভিজ্ঞ অধিনায়ক। দলকে খেতাব জিতিয়েছেন, নিজেও সফল হয়েছেন। তবে আগামী দিনের কথা ভেবে দল যখন পুনর্গঠিত হচ্ছে সেখানে ধোনির সম্ভাব্য অবদানের বিষয়টি নিয়ে চিন্তার অবকাশ রয়েছে। আমি মনে করি না, ধোনির যা অবদান তাতে স্বপদে বহাল থাকা উচিত। সঞ্জু স্যামসন ৩০-এর উপর গড় রেখে ৩০০-র উপর রান করলেও তাঁর অবদান নিয়ে অনেকে সংশয়ী। সব দিক বিবেচনা করেই আবেগের কথা মাথায় রেখে সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রয়োজন।
|
সানির যুক্তি
তবে ধোনির খেলা চালিয়ে যাওয়ার পক্ষে সওয়াল করেছেন সানি। তিনি স্টার স্পোর্টসে বলেন, ধোনির মতো কিংবদন্তি খেলা চালিয়ে যান। সকলে সেটাই চায়। যখন সচিন অবসর নিয়েছিলেন, সেটা ভীষণ দুঃখের মুহূর্ত ছিল। কেন না তখন আমাদের মাথায় এই ভাবনা এসে যায়, কাল থেকেই আর সচিনকে দেখা যাবে না খেলতে! তেমনটা ধোনির ক্ষেত্রেও হবে। আগামী বছর তিনি খেলবেন। আমরা চাই তিনি খেলা চালিয়ে যান।