মোদীকে নিশানা রাহুলের
আন্তর্জাতিক মঞ্চেও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিেলন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। লন্ডনে একটি কনভেনশনে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। সেখানেই প্রধানমন্ত্রী মোদীকে তীব্র নিশানা করেন তিনি। দেশের প্রধানমন্ত্রী কারোর কথা শুনতে চান না বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী মোদী কেবল নিজের কথাই বতে চান। দেশবাসীর কথা শুনতে চান না তিনি। এমনই অভিযোগ করেছেন কংগ্রেস নেতা। তিনি দাবি করেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী কেবল নিজের কথা বলতে চান।
কথা শোনার অভ্যাস রাখতে হবে
রাহুল গান্ধী এদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে নিশানা করো বলেছেন, দেশের প্রধানমন্ত্রীকে শুনতে হবে। জনতা কী বলছে। বিরোধীরা কী বলছে সেটা শুনতে দেশের প্রধানমন্ত্রীকে। এই অভ্যাসটা থাকা অত্যনত জরুরি মনই দাবি করেছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। তিনি বলেছেন ভারত কখনও এমন কোনও দেশ হতে পারে না যেখানে বাক স্বাধীনতা নেই। এমনকী পিএমও স্বাধীন ভাবে কথা বলতে পারে না এমন হতে পারে না।
আরএসএস ও বিজেপিকে নিশানা
প্রধানমন্ত্রীকে নিশানা করতে গিয়ে বিজেপি এবং আরএসএসকেও নিশানা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি কটাক্ষ করে বলেছেন বিজেপি আর আরএসএস ভারতকে মনে করে সোনার পাখি। যার ফায়দা কেবল তারাই পাবে। কিন্তু বাস্তবে ভারত গোটা দেশবাসীর। এখান সবার সমান অধিকার রয়েছে। তার মধ্যে কোনও জািতভেদ থাকবে না। ব্রাহ্মণই হোক বা দলিতই হোক সকলের সমান অধিকার থাকবে। গোটা বিশ্বে একমাত্র ভারতই গণতন্ত্রকে রক্ষা করে চলেছে বলে দাবি করেছেন কংগ্রেস নেতা।
সংবিধানে আঘাত হানার চেষ্টা
মোদী সরকার দেশের সংবিধানে আঘাত হানার চেষ্টা করছে। দেশের গণতন্ত্রকে নানা ভাবে বিঘ্নিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। কয়েকদিন আগে সুপ্রিম কোর্ট ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছে। রাষ্ট্রদ্রোহিতার আইনে কোনও মামলা করা যাবে না। বিেজপি সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই রাষ্ট্রদ্রোহিতার আইনে একাধিক মামলা হয়েছে। বিশেষ করে সরকারের বিরোধিতা করলেই তােক রাষ্ট্রদ্রোহিতার আইনে গ্রেফতার করা হচ্ছিল বলে অভিযোগ বিরোধীদের।