পূর্ব লাদাখে নিয়ন্ত্রণরেখার কাছে চিনা আগ্রাসন এতটুকুও কমেনি৷ প্যাংগং লেকের কাছে দ্বিতীয় সেতু নির্মাণের কাজ শুরু করে তা বুঝিয়ে দিয়েছে পিপলস লিবারেশন আর্মি ৷ তবে বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচী বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন যে পূর্ব লাদাখের প্যাংগং লেকের কাছে সেতু তৈরির বিষয়টি নিয়ে তিনি অবগত। তবে এটা দ্বিতীয় নাকি বিদ্যমান সেতুটিকে প্রসারিত করা হচ্ছে সে বিষয়ে নিশ্চিত নন।
তিনি চিনের বিদেশ মন্ত্রী ওয়াং জি–এর মার্চে ভারত সফর নিয়েও কথা বলেন। তিনি বলেন, 'বিদেশ মন্ত্রী (এস জয়শঙ্কর) সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময় বলেছিলেন যে ২০২০ সালের এপ্রিল থেকে চিনের পক্ষ থেকে যে অশান্তি এবং উত্তেজনা দেখা দিয়েছে তা দুই প্রতিবেশীর মধ্যে স্বাভাবিক সম্পর্কের সঙ্গে মিলিত হতে পারে না।’
প্রসঙ্গত, উপগ্রহ চিত্র বিশ্লেষণ করে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, এটি প্রথম সেতুর তুলনায় ভারী ওজন বহনে সক্ষম ৷ সীমান্তে জওয়ানদের কাছে যুদ্ধাস্ত্র ও ভারী সরঞ্জাম পৌঁছে দিতে ওই সেতু নির্মাণ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা ৷ প্যাংগং লেকের কাছে চিনের এই অতিসক্রিয়তা ভারতের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে ৷ গত এপ্রিল মাসে প্যাংগং লেকের কাছে একটি সেতু নির্মাণের কাজ শেষ করে লাল ফৌজ ৷ ঠিক তার পাশেই সমান্তরাল আরও একটি সেতু নির্মাণ করছে চিন ৷ ওই সেতু নির্মাণের যাবতীয় সরঞ্জাম, ক্রেন ইত্যাদি নিয়ে যাওয়া হয়েছে সদ্য নির্মিত সেতু দিয়ে ৷ বিশেষজ্ঞদের ধারনা, সম্ভবত নির্মাণসামগ্রী নিয়ে যাওয়ার জন্য ওই সেতুটি বানিয়েছে চিন ৷ কেন না, প্রথম সেতুর চেয়ে দ্বিতীয় সেতুটি অনেকটাই চওড়া ৷
প্রথম সেতু নির্মাণের খবর জানাজানি হয় এই বছর জানুয়ারিতে৷ সেই সময় ভারত এই নির্মাণকাজের বিরোধিতা করেছিল। বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি তখন বলেছিলেন, ৬০ বছর ধরে বেআইনিভাবে কবজা করে রাখা অংশে চিন যাবতীয় কর্মযজ্ঞ করছে ৷ ভারত কখনওই এগুলো মেনে নেবে না ৷ ভারতের প্রতিবাদ সত্ত্বেও নিয়ন্ত্রণরেখার কাছে চিন নির্মাণকাজ বন্ধ রাখেনি ৷ উল্টে আরও একটি সেতু নির্মাণ শুরু করেছে তারা ৷