থাইল্যান্ড ওপেনের সেমিফাইনালে জায়গা করে নিলেন পিভি সিন্ধু। বিশ্ব ক্রমতালিকায় শীর্ষ স্থানে থাকা আকানে ইয়ামাগুচিকে হারিয়ে থাইল্যান্ড ওপেনের শেষ চারে জায়গা করে নিলেন ভারতের এই মহিলা শাটলার। জাপানি প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে তিন গেমের ম্যাচে সিন্ধুর পক্ষে খেলার ফল ২১-১৫, ২০-২২ এবং ২১-১৩। কোয়ার্টার ফাইনালের এই ম্যাচে জয় তুলে আনতে অলিম্পিকে দু'বার পদক জয়ী সিন্ধুর সময় লাগে মাত্র ৫৩ মিনিট।
সেমিফাইনালে প্রতিযোগীতার ষষ্ঠ বাছাই সিন্ধু, কোয়ার্টার ফাইনালে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী আকানে ইয়ামাগুচি ছিলেন থাইল্যান্ডের দ্বিতীয় বাছাই। সিন্ধু এবং ইয়ামাগুচি এই ২৫ বার একে অপরের মুখোমুখি হয়েছিলেন। এই জয়ের ফলে এই নিয়ে ইয়ামাগুচিকে ১৬ বার হারালেন পিভি সিন্ধু।
সেমিফাইনালে সিন্ধুর প্রতিদ্বন্দ্বী ২০২০ টোকিও অলিম্পিকে সোনা জয়ী চেন ইউ ফেই। শেষ বার সিন্ধু এবং ইয়ামাগুচি যখন মুখোমুখি হয়েছিল সেই ম্যাচে আম্পায়ারিং-এর মান নিয়ে প্রশ্ন উঠে গিয়েছিল। বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছিল ম্যাচের আম্পায়ারিং ঘিরে। চেন এবং সিন্ধু শেষ বার মুখোমুখি হয়েছিল ব্যাডমিন্টন এশিয়া চ্যাম্পিয়নশিপের সেমিফাইনালে। সেই ম্যাচে হেরে গিয়েছিলেন ভারতের এই তারকা শাটলার।
পয়েন্ট পাওয়ার পর সিন্ধুর বিরুদ্ধে সার্ভ করতে দেরি করার অভিযোগ এনে ইয়ামাগুচিকে এক পয়েন্ট দেন আম্পায়ার। শেষে দ্বিতীয় গেম ইয়ামাগুচি জেতেন ২১-১৯ ব্যবধানে। নির্ণায়ক গেমেও দাপট অব্যাহত রাখেন জাপানি শাটলার এবং জেতেন ২১-১৬ ব্যবধানে। পয়েন্ট কেটে প্রতিপক্ষকে দেওয়ার পরই ক্রমে ছন্দ হারাতে থাকেন সিন্ধু। ম্যাচের শেষে তিনি বলেন, "আম্পায়ার আমাকে বলেন আমি নাকি সময় নিচ্ছি। কিন্তু বাস্তব হলো, প্রতিপক্ষ তৈরি না থাকায আমি সার্ভ করতে পারিনি। হঠাৎই আম্পায়ার প্রতিপক্ষকে এক পয়েন্ট দিয়ে দিলেন! এটা একেবারেই ঠিক হয়নি, অন্যায় হয়েছে। আমার পরাজয়ের এটি অন্যতম কারণ।"
২০২২ সালে এখনও পর্যন্ত ভাল-খারাপ মিলিয়ে গিয়েছে পিভি সিন্ধু'র। জানুয়ারিতে ইন্ডিয়া ওপেনে তৃতীয় স্থানে শেষ করেন পিভি সিন্ধু। লখনউয়ে তিনি জিতে নেন সৈয়দ মোদী ইন্ডিয়া ইন্টারন্যাশনাল। গেনওয়ার্ড জার্মান ওপেনের প্রি-কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে ছিটকে যান পিভি সিন্ধু। একই রকম ভাবে অল ইংল্যান্ড ওপেন ব্যাডমিন্টন চ্যাম্পিয়নশিপ-এর প্রি কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে ছিটকে যান পিভি সিন্ধু। সুইস ওপেনে চ্যাম্পিয়ন সিন্ধু এবং তিনি পরাজিত হন কোরিয়া ওপেনের সেমিফাইনাল থেকে। ব্যাডমিন্টন এশিয়া চ্যাম্পিয়নশিপসে ব্রোঞ্জ জেতেন বিশ্বের প্রাক্তন এক নম্বর তারকা।