এবার দেশে ভিপিএন পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে কড়া হচ্ছে কেন্দ্র। ভারতে ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক পরিষেবা প্রদানকারী কোম্পানিগুলি, যারা দেশের সরকার প্রণীত নিয়ম মানতে রাজী নন তাদের ভারত ব্যবসা করা যাবে না, এরকমই কড়া মন্তব্য করলেন আইটি প্রতিমন্ত্রী রাজীব চন্দ্রশেখর!
দেশে ব্যবসা করতে হলে নিয়ম মেনে চলতেই হবে। না পারলে দেশ ছাড়তে হবে। এবার ঠিক এভাবেই ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক সারভিস সংস্থাগুলিকে হুঁশিয়ারি দিল ভারত সরকার। বুধবার সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলিকে সাবধান করে দিলেন ইলেক্ট্রনিক্স এবং তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী রাজীব চন্দ্রশেখর।
২০১৪ সালে ক্ষমতায় আসার পরই দেশের ডিজিটালাইজেশনে জোর দিয়েছে বিজেপি সরকার। কিছুদিন আগেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জানিয়েছেন, চলতি দশকের শেষে ষষ্ঠ জেনারেশন গতির ইন্টারনেট পরিষেবা চালু হয়ে যাবে দেশে। তবে ইন্টারনেট পরিষেবার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর তার সুরক্ষা, স্বচ্ছতা। এবার এই বিষয়েই গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার। সম্প্রতি সাইবার দুর্ঘটনা সংক্রান্ত প্রশ্নাবলীর উত্তর দেওয়ার সময় এই কথাই বললেন রাজীব। তিনি জানান, প্রত্যেকটি সংস্থা জানে বিশ্বস্ত এবং সুরক্ষিত ইন্টারনেটের গুরুত্ব৷ রাজীবের কথায়, ' কোনও সংস্থাই বলতে পারে না যে তারা ভারতের নিয়ম মেনে চলবে না। যদি তাদের কাছে হিসেব না থাকে, তাহলে রাখা শুরু করতে হবে। যদি এমন কোনও ভিপিএন সংস্থা থাকে যারা ব্যবহারকারীদের পরিচয় এবং তথ্যাদি গোপন করতে চায়, তবে দেশ ত্যাগ ব্যতীত অন্য কোনও রাস্তা নেই তাদের কাছে।'
অর্জুনের শক্তিশেলে কেঁপে গেল কেন্দ্র, উঠে যাচ্ছে পাটের সর্বোচ্চ মূল্য
ইলেকট্রনিকস এবং তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রক ইতিমধ্যেই ভিপিএন এবং ক্লাউড সংস্থাগুলিকে নির্দেশ দিয়েছে ব্যবহারকারীদের তথ্য ন্যূনতম পাঁচ বছরের জন্য সংরক্ষণ করার। এই নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতে অনেক সংস্থা আবার দাবি করে, এর ফলে ক্ষতিকর প্রভাব পড়বে গোটা পরিষেবায়। সে দাবি অবশ্য উড়িয়ে দিয়েছে সরকার। রাজীব বলেন, ' সাইবার অপরাধের গতিপ্রকৃতি, আকার আকৃতি বড়ই জটিল৷ যারা এই অপরাধ করে, খুব তাড়াতাড়ি উধাও হতে পারে। কাজেই এর তদন্তের জন্য দ্রুত নথিভুক্তকরণ, ফরেন্সিক অ্যানালিসিস প্রয়োজন।'