সিবিআই দফতরে অনুব্রত মণ্ডল
অবশেষে সিবিআই দফতরে হাজিরা দিয়েছেন বীরভূমের তৃণমূল কংগ্রেস জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। গতাকলই তিনি হাজিরা দেওয়ার কথা জানিয়েছিলেন। সেই মত প্রস্তুতি আগেই করে রেখেছিলেন তদন্তকারীরা। বৃহস্পতিবার সকালে নির্ধারিত সময়েই পৌঁছান অনুব্রত মণ্ডল। প্রথমেই তাঁকে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে স্বাস্থ্য পরীক্ষার পরে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় নিজাম প্যালেসে। পর পর ৬ বার হাজিরা এড়িয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল। প্রতিবারই শারীরিক অসুস্থতার কথা বলেই তিনি হাজিরা এড়িয়েছেন।
৭ পাতার প্রশ্ন পত্র অনুব্রতকে
গতকাল অনুব্রত মণ্ডল নিজেই সিবিআই হাজিরা দেওয়ার কথা জানিয়েছিলেন। ২১ তারিখ পর্যন্ত তাঁকে বাড়তি সময় দিয়েছিল সিবিআই। সেকারণেই হাজিরায় তোরজোর বলে মনে করা হচ্ছে। এই প্রথম অনুব্রত মণ্ডলকে বাগে পেয়েছেন তদন্তকারীরা। কাজেই প্রশ্নপত্র যে তাঁরা আগে থেকেই সাজিয়ে রাখবেন তাতে কোনও সন্দেহ নেই। সূত্রের খবর ৭ পাতার প্রশ্ন পত্র তৈরি করা হয়েছে অনুব্রত মণ্ডলের জন্য। তাতে ৩৬টি প্রশ্ন রয়েছে। নিজাম প্যালেসের ১৬ তলায় চলছে জিজ্ঞাসাবাদ।
৬ বার হাজিরা এড়িয়েছেন অনুব্রত
এই নিয়ে ৬ বার হাজিরা এড়িয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল। প্রতিবারই শারীরিক অসুস্থতার কথা বলেই হািজরা এড়িয়েছেন তিনি। গতবার তাঁকে তলব করেছিল সিবিআই। গরুপাচার কাণ্ডে অভিযুক্ত এনামূলের কাছ থেকে একাধিক তথ্য হাতে পেয়েছেন তদন্তকারীরা। সেই তথ্য কতটা সঠিক তা যাচাই করতেই অনুব্রত মণ্ডলকে জেরা করতে তৎপর হয়েছিল সিবিআই। কন্তু বারবারই অসুস্থতার কথা জানিয়ে তিনি হাজিরা এড়িয়েছেন। হাজিরা এড়াতে একেবারে এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি।
গ্রেফতারির ভয় পাচ্ছেন অনুব্রত মণ্ডল
সিবিআই তলবের পর থেকে গ্রেফতারির ভয় পাচ্ছেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা। সেকারণে হাইকোর্টে পর্যন্ত হাজির হয়েছিলেন তিনি। সেখানে কয়েক মাসের রক্ষা কবচ পেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তারপরে সিবিআইয়ের পক্ষ থেকে কড়া বার্তা পাঠানো হয়। এরপর হাজিরা এড়াতে তৃণমূল কংগ্রেস নেতার বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা হতে পারে বলে িচঠি পাঠিয়েছিলেন তাঁরা।