আরও বৃষ্টির পূর্বাভাস
গুয়াহাটির আঞ্চলিক আবহাওয়া দফতরের তরফে সতর্ক করে বলা হয়েছে, বৃষ্টি এখনই কমার সম্ভাবনা নেই। বরং ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস আবহাওয়া দফতরের তরফে দেওয়া হয়েছে। আবহাওয়া দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, এখনই এইসব অঞ্চলে স্বাভাবিকের থেকে বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে এবং আগামী কয়েকদিন সেখানে বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকবে।
বর্তমানে কামপুর ও ধরমতুলে কপিলি নদী, নাংলামুরাঘাটে ডিসাং নদী, এপিঘাটে বরাক নদী এভং করিমগঞ্জে কুশিয়ারা নদী বিপদসীমার ওপর দিয়ে বাইছে।
উদ্ধার কাজে কেন্দ্র ও রাজ্যের বিভিন্ন সংস্থা
অবিরাম বৃষ্টি ও ভূমিধসের কারণে অসমের বরাক উপত্যকা ও ডিমা হাসাও জেলা এবং প্রতিবেশী ত্রিপুরা, মিজোরাম ও মনিপুরের সঙ্গে রেল ও সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। বন্যা দুর্গতদের সাহায্য করা থেকে উদ্ধার কাজে কেন্দ্র ও রাজ্যের বিভিন্ন সংস্থা কাজ করে চলেছে। সেনাবাহিনী ও আধা সামরিক বাহিনী ছাড়াও, ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসপন্স ফোর্স, স্টেট ডিজাস্টার রেসপন্স ফোর্স এবং রাজ্য পুলিশের দমকল ও জরুরি পরিষেবা দফতর বাড়িতে আটকে পড়াদের উদ্ধার করছে।
২৭ টি জেলা প্রশাসন ১৪২ টি ত্রাণ শিবির এবং ১১৫ টি ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে।
অসমের পাশে কেন্দ্র
অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা বলেছেন, রাজ্য সরকার বন্যা কবলিত জেলাগুলির জন্য ১৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে। অন্যদিকে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে ত্রাণ হিসেবে রাজ্যের জন্য হাজার কোটি টাকা মঞ্জুর করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, রাজ্য সরকার বন্যা কবলিত এলাকায় প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রে সরবরাহ বজায় রাখতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিচ্ছে। সড়ক যোগাযোগ ২-৩ দিনের মধ্যে চালু হয়ে গেলেও রেল সংযোগ পুনরুদ্ধারে অন্তত ৪৫ দিন সময় লাগবে।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ অসম সরকারকে প্রয়োজনীয় সব ধরনের সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন।
আটকে পড়াদের উদ্ধারে বিমানের সাহায্য
অসমের বরাক উপত্যকায় আটকে পড়াদের সাহায্য করতে সরকারের তরফে ফ্লাইবিগ এয়ারলাইনের সঙ্গে চুক্তি করা হয়েছে। টিকিটের মূল্য হিসেবে দিতে হবে ৩ হাজার টাকা। বাকি চার্জ রাজ্য সরকার বহন করবে বলে জানানো হয়েছে।