সেরা আবিষ্কার
সকলেই প্রশংসা করছেন রিঙ্কু সিংয়ের অদম্য মানসিকতা নিয়ে চালানো লড়াইয়ের। মার্কাস স্টইনিংসের বলে এভিন লুইসের আইপিএলের ইতিহাসে অন্যতম সেরা ক্যাচে ফেরেন রিঙ্কু। দুটি চার ও চারটি ছয়ের সাহায্যে ১৫ বলে ৪০ রান করে। চলতি আইপিএলে কেকেআরের হয়ে তাঁর পারফরম্যান্স যথেষ্টই উজ্জ্বল। ৭ ম্যাচে ৭ ইনিংসে ২ বার অপরাজিত থেকে ১৭৪ রান করেছেন। সর্বাধিক রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধে ম্যাচ জেতানো অপরাজিত ৪২। গড় ৩৪.৮০, স্ট্রাইক রেট ১৪৮.৭১। টুর্নামেন্টে ১৭টি চার ও ৭টি ছয় মেরেছেন। তবে গতকালের ইনিংসে দলকে জেতাতে না পারলেও তাঁর কেরিয়ারের ক্ষেত্রে এটি গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে।
|
উচ্ছ্বসিত ম্যাকালাম
কেকেআরের হেড কোচ হিসেবে ব্রেন্ডন ম্যাকালামের এটাই ছিল শেষ আইপিএল ম্যাচ। এবার তিনি ইংল্যান্ড দলের হেড কোচের দায়িত্ব নেবেন। রিঙ্কুর উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করে তাঁকে এবারের আইপিএলের সেরা আবিষ্কার বলেও মেনে নেন ম্যাকালাম। তিনি বলেন, আমার কোনও সংশয়ই নেই রিঙ্কুর উপর আগামী কয়েক বছরে আরও বেশি আস্থা রাখবে কেকেআর। নিজের খেলার উন্নতি ঘটিয়ে রিঙ্কু সেরাদের মধ্যেও চলে আসার যোগ্যতা রাখেন। রিঙ্কু যেভাবে এবার মিডল অর্ডারে নেমে ঝোড়ো ইনিংস খেলে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে জেতাতে বা জেতার পরিস্থিতি তৈরি করে দিয়েছেন, তা খুব বেশি ক্রিকেটার পারেন না। তাঁর খেলায় আমি অত্যন্ত খুশি। ইংল্যান্ডের কোচ হিসেবে নতুন চ্যালেঞ্জ নিলেও কেকেআরে যাঁদের নিয়ে এত বছর কাটালাম তাঁদের দিকে নজর থাকবে। বিশেষ করে রিঙ্কুর দিকে।
|
শ্রেয়সের প্রশংসা
রিঙ্কুর প্রশংসা শোনা গিয়েছেন নাইট অধিনায়ক শ্রেয়স আইয়ারের গলাতেও। তিনি বলেন, রিঙ্কু আমাদের যেভাবে জয়ের কাছাকাছি পৌঁছে দিয়েছিলেন সেটা দেখে আমার ভালো লেগেছে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে শেষ দুই বলে ব্যাটে-বলের প্রত্যাশিত সংযোগ হয়নি। আমি ভেবেছিলাম, রিঙ্কু ম্যাচ ফিনিশ করে হিরো হয়েই বেরোবেন। তা না হলেও যে ইনিংস তিনি খেলেছেন তা অসাধারণ। রিঙ্কুর খেলায় আমি খুব খুশি। ম্যাচটি হেরে গিয়েও খারাপ লাগছে না। কেন না, লখনউয়ের বিরুদ্ধে অন্যতম সেরা ম্যাচ খেললাম। আমাদের কাছে এটি ছিল মরণ-বাঁচ ম্যাচ। পাওয়ারপ্লেতে দুটি উইকেট হারালেও না দমে আমাদের রান তাড়ার পরিকল্পনা ছিল। যাতে লক্ষ্যের যতটা কাছাকাছি পৌঁছে প্রতিপক্ষের উপর চাপ তৈরি করা যায়।
দলের ব্যর্থতার পর আইয়ার
নাইট ড্রেসিংরুমের পরিবেশ থেকে কোচ-অধিনায়কের সম্পর্ক, কেকেআরের ব্যর্থতার কারণ হিসেবে উঠে আসে নানা তথ্য। আইপিএল থেকে বিদায়ের পর শ্রেয়স বলেন, এই মরশুমটা আমাদের প্রত্যাশামাফিক হয়নি। শুরুটা ভালোই হয়েছিল। কিন্তু টানা পাঁচটি ম্যাচে এরপর আমরা পরাস্ত হই। আমার ব্যক্তিগতভাবে মনে হয়েছে, আমরা দলে অনেক বেশি পরিবর্তন এনেছি। কিন্তু এটি করতে হয়েছে ক্রিকেটারদের চোট-আঘাত ও ফর্মের কারণেই। কিন্তু এই মরশুমেই আবার আমরা রিঙ্কুর মতো ক্রিকেটারের দক্ষতা সম্পর্কেও অবগত হয়েছি। ড্রেসিংরুম সব সময়েই ইতিবাচক ছিল। প্যানিক বোতাম টিপতে হয়নি। ম্যাকালামের সঙ্গেও আমার বোঝাপড়া ভালো জায়গাতেই ছিল। প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও বাজ (ম্যাকালাম) শান্ত ও কম্পোজড ছিলেন। যে কোনও বিষয়ে তাঁর সঙ্গে আমরা কথা বলেছি খেলার নানা দিক নিয়ে। দলের প্রত্যেককেই ম্যাকালাম সমান নজরে দেখেছেন।