জ্ঞানব্যাপীর সুরক্ষায় সিআরপিএফ!
বারাণসী প্রশাসন জ্ঞানযাপী মসজিদের অযু এলাকাটি সিল করে দিয়েছে। মসজিদে যেখানে জলাধারটি ছিল, যেখানে একটি সমীক্ষার সময় একটি শিবলিঙ্গ আবিষ্কৃত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ১৮ মে বুধবার বারাণসী কোর্ট নিযুক্ত কর্মকর্তারা এই এলাকায় যাওয়ার দরজায় তালা লাগিয়ে সবার জন্য অজুখানা বন্ধ করে দিয়েছেন। জ্ঞানব্যাপী মসজিদ-কাশী বিশ্বনাথ মন্দির কমপ্লেক্সে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি এড়াতে ওয়াজুখানার দরজায় সিআরপিএফ মোতায়েন করা হয়েছে। মন্দির-মসজিদ ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা একজন ডেপুটি এসপি র্যাঙ্ক অফিসার এবং একজন সিআরপিএফ কমান্ড্যান্ট দ্বারা দেখাশোনা করা হচ্ছে।
এর আগে কী নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট?
এর আগে বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় এবং পিএস নরসিমাকে নিয়ে তৈরি হওয়া শীর্ষ আদালতের বেঞ্চ জ্ঞানব্যাপী মসজিদ নিয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ দিয়েছিল! আদালত হিন্দু আবেদনকারীদের এবং উত্তরপ্রদেশ সরকারকে আঞ্জুমান ইন্তেজামিয়া মসজিদ কমিটির আবেদন বিষয়ে নোটিশ জারি করেছিল। প্রসঙ্গত, কাশী বিশ্বনাথ মন্দির সংলগ্ন জ্ঞানব্যাপী মসজিদ কমপ্লেক্সের ভিডিওগ্রাফিক নির্দেশ নিয়ে বারাণসী জেলা আদালতের আদেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্ট আবেদন করেছে মসজিদ কমিটি। যদিও শীর্ষ আদালত জ্ঞানব্যাপী মসজিদ সম্পর্কিত মামলায় বারাণসীর আদালতের কার্যক্রমে কোনওরকম স্থগিতাদেশ দেয়নি। তবে শীর্ষ আদালত জানিয়েছিল ওই মসজিদে কোনওভাবে নমাজ পড়া আটকানো যাবে না৷ এবং মুসলিম ধর্মের মানুষরাওখানে গিয়ে নমাজ পড়তে পারবেন৷ শুধুমাত্র বিতর্কিত অজুখানা (যেখানে শিবলিঙ্গ পাওয়া গিয়েছে) সেটিকো সিল করা যাবে!
বারাণসী আদালতে রিপোর্ট জমা দিলেন বিশাল সিং
১৯ মে আদালত-নিযুক্ত বিশেষ সহকারী কমিশনার বিশাল সিং বারাণসী আদালতে জ্ঞানব্যাপীর ভিডিওগ্রাফি চিপ ও সমীক্ষার সমস্ত তথ্য জাম দেন৷ যে সময় হিন্দু-মুসলিম দুই পক্ষেরই লোক উপস্থিত ছিল বলে জানা গিয়েছে!
দ্বারা জমা দেওয়া হয়েছিল। পুরো রিপোর্ট বারাণসী সিভিল জজ সিনিয়র ডিভিশন রবি কুমার দিবাকরের আদালতে জমা দেওয়া হয়েছে। এই মামলায় হিন্দুদের পক্ষের আবেদনকারীদের প্রতিনিধিত্বকারী অ্যাডভোকেট বিষ্ণু শঙ্কর জৈন বারাণসী আদালতে এই বিষয়ে শুনানি মুলতবি চেয়েছিলেন। তিনি বলেন, যে জ্ঞানভাপি মসজিদ মামলায় হিন্দু আবেদনকারীরা সুপ্রিম কোর্টের কাছে আরও সময় চাইবে। তারা বারাণসী আদালতে মামলাটি স্থগিতদেশ চাইবেন বলেও জানিয়েছিলেন৷