অসমে ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিত
অসময়ের বন্যায় বিপর্যস্ত অসম। ক্রমশ ভয়াবহ হচ্ছে পরিস্থিতি। ৪ লক্ষ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অসমে। বিস্তীর্ণ এলাকায় ধস নেমেছে। একাধিক এলাকা যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। ধস নেম ভেঙে গিয়েছে রাস্তা। অনেক জায়গাতেই পৌঁছতে পারছেন না উদ্ধারকারীরা। ইতিমধ্যেই অসমে ভূমি ধসে ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। লাগাতার বৃষ্টি চলছে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায়। ২০টি জেলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এই বিধ্বংসী বন্যায়। অসম মেঘালয়ের যোগাযোগ সড়ক বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে।
উদ্ধারকাজে নামল সেনা
অসমের এই ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতিতে উদ্ধারকাজের জন্য অবশেষে সেনা নামানো হল। আগেই বায়ুসেনা বন্যায় আটকে থাকা ট্রেন যাত্রীদের উদ্ধার করেছিল। বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের সঙ্গে কাজ করছে এবার সেনাও। বন্যা দুর্গত এলাকা থেকে ক্ষতিগ্রস্তদের সরিয়ে আনার চেষ্টা করছে তাঁরা। যেসব জায়গায় পঁছনো যাচ্ছিল না সেই সব জায়গা থেকে নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজ করছে সেনাবাহিনী। একাধিক জায়গায় ত্রাণ পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে।
মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা অমিত শাহের
অসমের বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মার সঙ্গে কথা বলেছেন অসমের পরিস্থিতিত নিয়ে। কেন্দ্রের পক্ষ থেকে অসম সরকারকে সবরকম সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন। ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিন কাজ করছে অসমে। রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা দলের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে এনডিআরএফ।
সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত কাছাড়
অসমের বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর জানিয়েছে রাজ্যের ২৬টি জেলার ৪,০৩,৩৩২ জন। তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কাছাড় জেলা। ধসের কারণে একাধিক রেল লাইন ডুবে গিয়েছে। অসমের সঙ্গে ত্রিপুরা, মিজোরামের রেলপথে যোগাযোগ প্রায় বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। ইতিমধ্যেই ৪০,০০০ মানুষকে ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় দেয়া হয়েছে। রেললাইনে জল দাঁড়িয়ে যাওয়ায় লামডিং এবং বদরপুর সেকশনের রেল যোগাযোগ একেবারেই বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে।
তাপ প্রবাহের সতর্কতা জারি
এদিকে আবার বৃহস্পতিবার থেকে ফের উত্তর পশ্চিম ভারতের রাজ্যগুলিতে তাপ প্রবাহের সতর্কতা জারি করেছে আইএমডি। রাজধানী দিল্লিতে সাময়িক বৃষ্টির কারণে কিছুটা হলেও স্বস্তি মিলেছে। নইলে সপ্তাহের প্রথম দিকে তাপমাত্রা ৪৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছে গিয়েছিল। এদিকে অসমের বন্যা পরিস্থিতি ক্রমশ অবনতি হচ্ছে। তার প্রভাব পড়তে পারে ত্রিপুরা, মণিপুর, মিজোরামে। আগে থেকেই সেই রাজ্যের সরকারদের প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। ভারতীয় বায়ুসেনা আকাশ পথে দুর্গত এলাকায় ত্রাণ পৌঁছে দিচ্ছে।