অভিষেক ও রুজিরার স্বস্তি
কয়লা পাচার মামলায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হয়ে সুপ্রিম কোর্টে সওয়াল করেন বিশিষ্ট আইনজীবী কপিল সিবাল। তিনি সুপ্রিম কোর্টের সামনে তুলে ধরেন, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কলকাতায় ঠিকানা রয়েছে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দিল্লিতে এসে হাজিরা দিলেও তাঁদের দুই ছোট ছোট সন্তান রয়েছে। যে কারণে রুজিরা দিল্লিতে হাজিরা দিতে পারছেন না। কপিল সিবাল উল্লেখ করেন কয়লা পাচার মামলাতেই রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কলকাতার বাড়িতে গিয়ে জেরা করেছিল সিবিআই। এক্ষেত্রে ইডি বাড়িতে গিয়ে কিংবা কলকাতার অফিসে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে। তাতেই সিলমোহর দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। জিজ্ঞাসাবাদের ২৪ ঘন্টা আগে নোটিশ দেওয়ার জন্যও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ইডিকে।
ইডিকে সুপ্রিম কোর্টে আসার অনুমতি
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কলকাতায় গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদে আপত্তি ছিল ইডির। এব্যাপারে ইডির আইনজীবী অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল এসভি রাজু সুপ্রিম কোর্টে বলেছিলেন, কলকাতায় সিবিআই অফিস এবং আধিকারিকদের ঘেরাওয়ের কথা। পাশাপাশি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে প্রভাবশালী তত্ত্বও তুলে ধরেছিলেন ইডির আইনজীবী। ইডিকে কলকাতায় গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নির্দেশ দেওয়ার পাশাপাশি বলা হয়েছে, যদি তারা বাংলায় তদন্ত করতে গিয়ে বাধার মুখে পড়েন, তাহলে বিষয়টি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করা যেতে পারে।
নিরাপত্তা বিঘ্নিত হলে দায় রাজ্য সরকারে
কলকাতায় গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদে ইডির আইনজীবীর উদ্বেগ প্রসঙ্গে, সর্বোচ্চ আদালত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে কেন্জ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডিকে সহযোগিতা করতে এবং আধিকারিকরা বাংলায় থাকার সময়ে তাদের নিরাপত্তা দিতে বলেছে। যদি তাতে রাজ্য সরকার ব্যর্থ হয়, তাহলে সব দায় তাদেরকেই নিতে হবে বলেও জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
পরবর্তী শুনানি ১৯ জুলাই
ইডির দিল্লির দফতরে গিয়ে হাজির দেওয়ার প্রসঙ্গে দিল্লি হাইকোর্টে মামলা করেছিলেন অভিষেক-রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সময় দিল্লি হাইকোর্ট বলেছিলেন দিল্লিতে ইডির অফিসে গিয়েই হাজিরা দিতে হবে। তারপর এই রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেন অভিষেক-রুজিরা। এদিন সেব্যাপারে সর্বোচ্চ আদালত অন্তর্বর্তী আদেশ দেয় ইডিকে। এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে ১৯ জুলাই।