লোকসান রোধে বাজারে হস্তক্ষেপ করল RBI!
মঙ্গলবার প্রাথমিক বাণিজ্যে মার্কিন ডলারের বিপরীতে রুপি আর ১৪ পয়সা কমে ৭৭.৬৯-এ নেমে এসেছে। আন্তঃব্যাংক বৈদেশিক মুদ্রায়, রুপি ডলারের বিপরীতে ৭৭.৬৭ এ দুর্বল হয়ে শুরু করেছিল তারপর আরও নেমে ৭৭.৬৯ এ দাঁড়িয়েছে ভারতীয় মূদ্রা৷ শুক্রবার, ভারতীয় মুদ্রা পুনরুদ্ধার ৭৭.৩১ এ শেষ হয়েছে কারণ আরবিআই এই লোকসান রোধ করতে খোলা বাজারে হস্তক্ষেপ করেছে৷
ডলার সাপেক্ষে ক্রমশ কমেছে রুপি!
বুদ্ধ পূর্ণিমার ছুটির কারণে সোমবার ভারতে আন্তঃব্যাংক বৈদেশিক মুদ্রার বাজার বন্ধ ছিল৷ রুপি এর আগে মার্চের শুরুতে প্রথমবারের মতো ডলারের সাপেক্ষে ৭৭ লঙ্ঘন করেছিল। ভারতীয় ইক্যুইটি বেঞ্চমার্কগুলি রাষ্ট্র-চালিত লাইফ ইন্স্যুরেন্স কর্পোরেশন, দেশের বৃহত্তম আইপিও লঞ্চের পরে মার্কেটে উচ্চতা আশা করছিল। সর্বশেষ স্টক এক্সচেঞ্জের তথ্য দেখায় যে বিদেশী প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা (এফআইআই) বাজারে নেট বিক্রেতা হিসেবে রয়েছে কারণ তারা সোমবার ১৭৮৮.৯৩ কোটি মূল্যের ভারতীয় শেয়ার অফলোড করেছে। প্রসঙ্গত গত সোমবার ডলারের সাপেক্ষে রুপি ৭৭.১৭ তে শুরু করেছিল৷ তারপর শেষ পর্যন্ত ৭৭.৪২-এ শেষ করেছিল। গত সপ্তাহেই প্রায় ৫২ পয়সা পতন হয়েছে রুপির! এর আগে মার্চ মাসে ৭৬.৯৮-এর সর্বকালের সর্বনিম্ন সীমা অতিক্রম করেছিল রুপি। গত শুক্রবার আমেরিকান ডলারের সাপেক্ষে ৫৫ পয়সা কমে ৭৬.৯০-এ থেমেছিল রুপি!
কংগ্রেসের কটাক্ষ!
কংগ্রেস আমলে ডলার ও রুপি ইস্যুতে কম প্রশ্নবাণ সহ্য করতে হয়নি মনমোহন সরকারকে। দেশের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং নিজে অর্থনীতিবিদ হওয়া সত্ত্বেও কেন টাকার দাম কমছে, তা নিয়ে সে সময় প্রশ্ন তুলতেন বিজেপি নেতারা। মনমোহনকে কটাক্ষ করায় সে সময় পিছিয়ে থাকতেন না নরেন্দ্র মোদীও। তিনি সে সময় প্রশ্ন তুলেছিলেন, শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশ সহ অন্যান্য দেশের মুদ্রার দাম না কমলে ভারতীয় রুপির দাম কমে কেন? বিজেপি আরও দাবি করত, অটল বিহারি বাজপেয়ীর আমলে টাকার দাম (ডলার সাপেক্ষে) ছিল ৪১ টাকা।