ওআইসির মন্তব্যে হতাশ ভারত
ভারতের তরফে জানানো হয়েছে, তারা ওআইসির মন্তব্যে হতাশ কেননা ওআইসির সচিবালয় ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে অযৌক্তিক মন্তব্য করেছে। আগেকার মতোই ভারত সরকার কেন্দ্র শাসিত জম্মু ও কাশ্মীর নিয়ে ওআইসি যেসব মন্তব্য করেছে, তা ভারত প্রত্যাখ্যান করেছে।
ওআইসি চলছে একটি দেশের ইশারায়
ওআইসিতে রয়েছে ৫৭ টি দেশ। কিন্তু ভারতের অভিযোগ, ওআইসি পাকিস্তানের নির্দেশে সাম্প্রদায়িক অ্যাজেন্ড চালাচ্ছে। এ পদক্ষেপ থেকে তাদের বিরত থাকা উচিত বলেও মন্তব্য করেছেন বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি।
জম্মু ও কাশ্মীর নিয়ে ওআইসি ও পাকিস্তান
ওআইসি জম্মু ও কাশ্মীর বিধানসভার ডিলিমিটেশন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল। যা ভারতের নজর এড়ায়নি। ওআইসির তরফে বলা হয়েছিল ভারত সরকার সেখানে জনসংখ্যার কাঠামো পরিবর্তন এবং কাশ্মীরিদের অধিকার লঙ্ঘন করছে।
এর আগে পাকিস্তানের সংসদে জম্মু ও কাশ্মীরের ডিলিমিটেশন নিয়ে প্রস্তাব গৃহীত হয়েছিল। সেখানে ডিলিমিটেশনের কাজকে প্রত্যাখ্যান করার কথা বলা হয়েছিল। এখানেই শেষ নয়, পাকিস্তানের নতুন বিদেশমন্ত্রী বিলাবল ভুট্টো জারদারি জম্মু ও কাশ্মীরের নির্বাচনী সীমানা পুনর্নবীকরণকে অবৈধ এবং রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব লঙ্ঘনেরও অভিযোগ করেছিলেন।
সীমানা পুনর্নির্ধারণ নিয়ে বিতর্ক
জম্মু ও কাশ্মীরের নির্বাচনী সীমানা পুনর্নির্ধারণ হল এমন একটি ব্যবস্থা যেখানে, প্রত্যেকটি লোকসভা কিংবা বিধানসভায় প্রায় সমান সংখ্যক ভোটার থাকবেন। ২০২০-র মার্চে জম্মু ও কাশ্মীরের জন্য ডিলিমিটেশন প্যানেল গঠন করা হয়েছিল। ইতিমধ্যে ৩ সদস্যের প্যানেল জম্মু অঞ্চলে ছটি অতিরিক্ত বিধানসভা আসনের জন্য প্রস্তাব করেছে। অন্যদিকে রাজৌরি ও পুঞ্চ এলাকাকে অনন্তনাগ লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে নিয়ে আসে। সব মিলিয়ে ৯০ আসনের জম্মু ও কাশ্মীর বিধানসভায় ৪৭ টি আসন থাকবে কাশ্মীরে আর জম্মুতে থাকবে ৪৩ টি আসন। ডিলিমিটেশনে জম্মুর আসন বাড়লেও বাড়েনি কাশ্মীরের আসন। একমাত্র বিজেপিকে বাদ দিয়ে সবকটি রাজনৈতিক দলই জম্মু ও কাশ্মীরের ডিলিমিটেশনের বিরোধিতা করেছে।