গত সপ্তাহ থেকেই থমকেছে টুইটার কেনার প্রক্রিয়া!
গত ক'বছর ধরেই টুইটার ব্যবহারকারীদের বাকস্বাধীনতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বহুক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে, বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষকে ব্যান করেছে তারা। টেসলার সিইও ইলন মাস্ক টুইটার কিনে নেওয়ার পর মনে করা হয়েছিল, এই অবস্থার পরিবর্তন আসবে। গত সপ্তাহে টুইটার দাবি করে, তাদের প্ল্যাটফর্মে স্প্যাম অ্যাকাউন্টের সংখ্যা ৫ শতাংশের কম। ইলন সরাসরি এই দাবি উড়িয়ে দেন এবং সংস্থাটি ক্রয় করার প্রক্রিয়া স্থগিত করে দেন। তারপর থেকেই শুরু হয়েছে জল্পনা! তবে কি টেসলা সিইও শেষ অবধি টুইটার কিনবেন না? নিজের অবস্থান অবশ্য স্পষ্ট করেছেন মাস্ক। তিনি জানিয়েছেন, সংস্থাটি কিনতে তিনি যথেষ্ট আগ্রহী।
কমতে পারে টুইটারের দাম!
বিশেষজ্ঞদের একটা বড় অংশ অবশ্য এতে মাস্কের মুন্সিয়ানা দেখছে। তাদের মতে, এই ইস্যুকে প্রাধান্য দিয়ে মাস্ক আরও কম দামে কিনে ফেলবেন সংস্থাটিকে৷ গতমাসে মাস্ক প্রস্তাব দিয়েছিলেন, তিনি ৪৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার দামে কিনবেন সংস্থাটিকে। এখন মনে করা হচ্ছে, আরও কম দামে কিনে ফেলতে পারবেন তিনি। সম্প্রতি সরাসরি সেই ইঙ্গিতও দিয়ে রেখেছেন মাস্ক। তিনি জানিয়েছেন, দামদর নিয়ে আলোচনা করা হবে৷ সোমবার মিয়ামিতে একটি কনফারেন্সে মাস্ক বলেন, ' যা কিনছি, তা যদি দাবির চেয়ে নিম্নমানের হয়, তবে একই দামে তা কেনা যায় না।'
এর আগে ট্রাম্পকে টুইটারে ফিরিয়ে আনতে চেয়ে হইচই ফেলে দিয়েছিলেন মাস্ক!
গত সপ্তাহেই টুইটারের নতুন মালিক ইলন মাস্ক আমেরিকার প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্পর্কে একটি টুইট করে জল্পনা বাড়িয়েছিলেন। মাস্ক টুইটে লিখেছিলেন, 'যে যদিও প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্পের চেয়ে ভালো কেউ ২০২৪ সালে রাষ্ট্রপতির জন্য প্রার্থী হবেন, তবুও তাঁকে (ট্রাম্পকে) টুইটারে ফিরিয়ে আনা উচিৎ৷' কিছুদিন আগে ফিন্যান্সিয়াল টাইমস 'ফিউচার অফ দ্য কার' কনফারেন্সে বক্তব্য রাখার সময়ও, ইলন মাস্ক বলেছিলেন, যে তিনি প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্টের উপর টুইটারের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করবেন। সেই বক্তব্যের রেয় কাটার আগপই নতুন করে মাস্কের টুইটার না কেনা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে!