একশো দিনের কাজের প্রাপ্ত টাকা নিয়ে কেন্দ্রকে একহাত নিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দুদিনের মেদিনীপুর সফরের প্রথম দিনে প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, কেন্দ্রের অসহযোগিতায় গরবি মানুষের কাছে তাদের প্রাপ্য টাকা দেওয়া যাচ্ছে না সঠিক সময়ে। এ জন্য আমরা রাজ্যের তরফে বিকল্প বন্দোবস্ত করতে বাধ্য হয়েছি।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, কেন্দ্র অসহযোগিতা করছে বলে আমরা পিছিয়ে নেই। আমরা প্রতিকূলতা সত্ত্বেও উন্নয়নমূলক কাজ এদিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। সেই কারণেই এদিন মোট শতাধিক প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিল্যান্যাস করা হয়। প্রশাসনিক বৈঠক শুরুর আগে মঙ্গলবার ১৩০টি প্রকল্পের উদ্বোধন করলেন মুখ্যমন্ত্রী এবং ৮৬টি প্রকল্পের শিলন্যাসও করলেন।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, পাঁচ মাস একশো দিনের কাজের টাকা পাননি উপভোক্তারা। ফলে একশো দিনের কাজের শ্রমিকরা বিপাকে পড়েছেন। কেন্দ্র টাকা দেয়নি। তার ফলেই একশো দিনের শ্রমিকদের প্রাপ্য আমরা মেটাতে পারছি না। পরবর্তী কাজগুলিও এর ফলে বিঘ্নিত হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, কেন্দ্র আমাদের প্রাপ্য না দেওয়ায় গরিব শ্রমিকদের টাকা দিতে পারছি না। ডিসেম্বর থেকে কেন্দ্র টাকা দিচ্ছে না। আমি প্রধানমন্ত্রীকে এই মর্মে চিঠিও লিখেছি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, একটা ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট ফান্ড তৈরি করতে হবে।
এদিন মুখ্যমন্ত্রী পঞ্চায়েত ও পুলিশকে সাবধান করে বলেন, গাছ কেটে বিক্রি করা পঞ্চায়েতের কাজ নয়, এই কাজ বন দফতরের। শালবনিতে গাছ কাটা নিয়ে ব্যবস্থা নিক পুলিশ। বালি কাটা ও মাটি কাটা বন্ধ হয়েছে। খড়গপুরে এবার চুরি-ডাকাতি বন্ধ করতে হবে। পুলিশকে আরও সক্রিয় হতে হবে। খড়গপুর খুব স্পর্শকাতর জায়গা। সেখানে সিসিটিভি ক্যামেরা রয়েছে। আরও সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানোর বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর। জেলার আইনশৃঙ্খলা নিয়েও পুলিশ সুপারকে প্রশ্ন করেন মুখ্যমন্ত্রী। খড়গপুর আইসিকে চুরি-ছিনতাই নিয়েও প্রশ্ন করা হয় এবং এর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও বলেন তিনি।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, আমরা অনেক মাওবাদীকে সমাজের মূলস্রোতে ফেরানোর বন্দোবস্ত করেছি। অনেককে চাকরিক দেওয়া হয়েছে পুলিশে। ৫৬ জন মাওবাদীকে নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছে হোমগার্ড হিসেবে। তারা যাতে ভালোভাবে কাজ করতে পারে, সমাজের মূলস্রোতে ফিরতে পারে, সেটা আমাদের সরকারের উদ্দেশ্য।
তীব্র তাপপ্রবাহে বাড়বে জীবনযাপনের জটিলতা, বাড়াবে মৃত্যু, দাবি বিশেষজ্ঞদের
এদিন ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান নিয়েও কেন্দ্রকে একহাত নেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্যোঘাপাধ্যায়। তিনি বলেন ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানমাফিক কাজ না হলে, প্রতি বছর বর্ষায় বন্যা হবে। কিন্তু এই কাজ কেন্দ্র আটক রেখে দিয়েছে। ফলে ঘাটালে প্রতি বছর বন্যা লেগে রয়েছে। এখন সেই সমস্যার সমাধান করা যয়ানি।