|
জ্ঞানব্যাপী মসজিদ নিয়ে টুইট তসলিমার
একটি টুইটে তসলিমা বলেছেন, সকলের জন্য একটি বড় প্রার্থনা ঘর থাকা ভাল। প্রার্থনা গৃহে ১০ টি বড় ঘর রাখার পরিকল্পনার কতা জানিয়েছেন তিনি। একটি হিন্দুদের জন্য, একটি মুসলিমদের জন্য, ১ টি করে খ্রিস্টান, বৌদ্ধ ইহুদি, শিখ, পার্সি ও জৈনদের জন্য। এছাড়াও লাইব্রেরি, উঠোন, বারান্দা, টয়লেট ও খেলার ঘরের পরিকল্পনার কথা বলেছেন তিনি।
অনেকেই প্রভাবিত হননি
তবে তসলিমার ওই প্রস্তাবে অনেকেই প্রভাবিত হননি। তিনি বলেছেন, হিন্দুদের কাছে মন্দির হল প্রার্থনার ঘরের থেকেও বেশি কিছু। এটি বাড়ি থেকে দূরে একটি বাড়ি। এই ধরনের অবস্থান কোনও কাজে আসেনি বলে মন্তব্য করেছেন সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীরা। তারা বলছেন, বিভিন্ন সম্প্রদায়ের জন্য পৃথক জায়গা দিলে তা প্রত্যেকে অন্যের ব্যক্তিগত স্থানকে সম্মান করবে এবং তাদের গোপনীয়তার অধিকারকে আক্রমণ করবে না।
বাংলাদেশ কিংবা পাকিস্তানকে এই পরামর্শ দিন
আবার কেউ বলছেন, আপনি ভারতে বসে বিনামূল্যে অই ধরনের উপদেশ দিতে পারেন। তবে এই ধরনের উপদেশ পাকিস্তান কিংবা বাংলাদেশে গিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করুন। ভোটব্যাঙ্কের কথা ভেঙে হিন্দুস্তানকে নেহরুই ধর্মনিরপেক্ষ করে তুলেছিলেন বলেও মন্তব্য করা হয়েছে টুইটে।
জ্ঞানব্যাপী নিয়ে আইনি লড়াই
এদিকে জ্ঞানব্যাপী মসজিদ অর্থাৎ কাশী-বিশ্বনাথের মন্জির সংলগ্ন মসজিদটি নিয়ে আদালতে চলছে আইনি লড়াই। এএসআইকে মসজিদের কাঠামো তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। হিন্দু সংগঠনের তরফে জ্ঞানব্যাপী-শ্রীঙ্গার গৌরী কমপ্লেক্সে পুজোর অনুমতি দাবি করা হয়েছে। তারা আরও বলেছেন, শ্রীঙ্গার গৌরী মূর্তির অস্তিত্ব প্রমাণ করতে গেলে মসজিদের ভিতরে যেতে হবে।
জ্ঞানব্যাপীর পরে তাজমহল, কুতুবমিনার নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। গত সপ্তাহে হিন্দু সংগঠনের সদস্যরা কুতুব মিনারে গিয়ে দাবি করে, সেটিকে বিষ্ণু স্তম্ভ করা হোক। যদিও আগে থেকেই কুতুবমিনারে প্রচুর পুলিশ মোতায়েন ছিল। কেননা এটি ইউনেসকোর মাধ্যমে বিশ্বের ঐতিহ্যবাগী স্থান হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। অন্যদিকে তাজমহল নিয়ে বিতর্কের মধ্যে এদিন এএসআই-এর তরফে তাজমহলের বন্ধ থাকা ২২ টি ঘরে ভিতরকার ছবি প্রকাশ করা হয়েছে। একাধিক হিন্দু সংগঠনের তরফে ওই ঘরগুলির মধ্যে হিন্দু মূ্র্তির উপস্থিতির দাবি করা হয়েছিল।