বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কাছাড়
হঠাৎ করে বন্যা অসমে। মে মাসে যেখানে গরম হওয়ার কথা সেখানে তিনদিনের লাগাতার ভারী বর্ষণে বিপর্যস্ত অসমের ৬টি জেলা। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কাছাড়। প্রবল বর্ষণে ভেসে গিয়েছে গ্রামের পর গ্রাম। চাষের জমি। ১৩৮টি গ্রামে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। প্রায় ৪১,০০০ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত এই অসমের বন্যায়। বৃষ্টি পিছু ছাড়ছে না। ১৮ তারিখ পর্যন্ত উত্তর পূর্ব ভারতের সব রাজ্যেই ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণের পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দফতর।
ত্রাণ শিবিরে অসংখ্য মানুষ
১৩৮ গ্রামের পরিস্থিতি এতটাই খারাপ যে সেখান থেকে বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের কর্মীরা গ্রামবাসীদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তাঁদের ১৬৮৩টি ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় দেওয়া হচ্ছে। তাঁদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। রবিবার রাত থেকে প্রবল বর্ষণ চলছে অসমে। তিন জনের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না তাদের মধ্যে একটি শিশুও রয়েছে। একাধিক জায়গায় ভূমিধস দেখা দিয়েছে। ৪০টির বেশি বাড়ি ভুমি ধসে ভেঙে গিয়েছে কার্বি আংলং জেলায়।
বন্যা পরিস্থিতির অবনতি
অসমের একাধিক জেলায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। কপোলি নদীর জল বাড়তে শুরু করেছে একাধিক জায়গায়। তার েজরে ভেসে গিয়েছে একাধিক গ্রাম। সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত অবস্থা কপোলি নদী সংলগ্ন কামপুর এলাকায়। সড়ক পথে যাওয়া যাচ্ছে না সেখানে। একপ্রকার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে এলাকাটি। কয়েক হাজার হেক্টর জমির ফসল একেবারে নষ্ট হয়ে গিয়েছে। অসমের বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের পরিসংখ্যান বলছে ২২২টি গ্রামের ৫৭,০০০ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত।
উদ্ধারকাজে বায়ুসেনা
অসমের একাধিক জেলার পরিস্থিতি এতটাই খারাপ যে উদ্ধারকাজে সেনা নামাতে হয়েছে। একাধিক ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। বন্যায় আটকে পড়া ট্রেনের যাত্রীদের কপ্টারে করে উদ্ধার করা হচ্ছে। ১১৯ জনকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। গুয়াহাটি-শিলচর গামী একাধিক ট্রেন আটকে রয়েছে রাস্তায়। রেল লাইনে জল জমে যাওয়া এবং ধস নেমে যাওয়ার কারণে ট্রেন চালাতে সাহস পাচ্ছে না রেলওয়ে।