প্রিমিয়ার লিগের শেষ পর্বে এসে হোঁচট খেল ম্যানচেস্টার সিটি। ওয়েস্ট হ্যামের ঘরের মাঠে ম্যাচ ড্র করল ম্যান সিটি। এই ড্র-এর ফলে প্রিমিয়ার লিগে তাদের জয়ের রথে সাময়িক ব্রেক এলেও খেতাবি এড়াইয়ে এখনও অ্যাডভান্টেড পজিশনেই রইল সিটি।
রবিবার ম্যাচের ২৪ মিনিটের মাথায় পাবলো ফোরনালসের পাস থেকে খেলার গতির বিপরীতে গোল করে ওয়েস্ট হ্যামকে এগিয়ে দেন জেরার্ড ব্রাউন। প্রথম গোলে পিছিয়ে যাওয়া ম্যান সিটি প্রথম থেকে যেমন ভাবে আক্রমণ তুলে আনছিল, সেই রকমই আরও আক্রমণের ঝাঁঝ বাড়ায় কিন্তু কোনও কিছুতেই প্রথমার্ধে ম্যাচে সমতা ফিরিয়ে আনতে পারেনি ম্যানচেস্টার সিটি। বরং প্রথমার্ধের অতিরিক্ত সময়ে দ্বিতীয় গোল হজম করে নিজেদের কাজটা তারা অনেকটা কঠিন করে ফেলে। লন্ডন স্টেডিয়ামে প্রথমার্ধের শেষ মুহূর্তে সিটির বিরুদ্ধে ওয়েস্ট হ্যামের হয়ে দ্বিতীয় গোলটিও করেন জেরর্ড ব্রাউন। মাইকেল অ্যান্টোনি এই গোলের পাসটি বাড়ান।
দুই গোলে পিছিয়ে থাকা ম্যান সিটিকে খেতাব লড়াইয়ে শীর্ষ স্থান ধরে রাখতে হলে এই ম্যাচ থেকে পয়েন্ট পেতেই হতো, না হলে পেপ গুয়ার্দিওলার দলের ঘাড়ে নিশ্বাস ফেলা লিভারপুল সুবিধাজনক জায়গায় চলে আসতো।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই ম্যানচেস্টার সিটির হয়ে ব্যবধান কমান জ্যাক গ্রেলিস। ম্যাচ জেতার জন্য় দ্বিতীয়ার্ধে আরও বেশি আগ্রাসী হয়ে উঠেছিল সিটি। ৬৯ মিনিটে সিটির আক্রমণ প্রতিহত করতে গিয়ে সেম সাইড গোল করে ফেলেন ভ্লাদিমির কৌফল। ম্যাচে সমতা ফিরিয়ে আনা ম্যানচেস্টার ঝাঁপায় জয়সূচক গোলের জন্য। সেই গোল পাওয়ার সহজতম সুযোগ চলেও এসেছিল নীল জার্সিধারীদের সামনে। ৮৬ মিনিটে রিয়াদ মাহরেজ পেনাল্টি পিস করা সেই সুযোগ কাজে লাগাতে পারেনি ম্যান সিটি। এই ম্যাচে ড্র করলেও ধাওয়া করা লিভারপুলের থেকে এগিয়েই থাকল সিটি। পরবর্তী ম্যাচে অ্যাস্টন ভিলাকে হারাতে পারলেই চ্যাম্পিয়ন হয়ে যাবে সিটি। শেষ ম্যাচ যদি তারা ড্র করে এবং পরবর্তী দু'টি ম্যাচ জেতে লিভারপুল তা হলে চ্যাম্পিয়ন হবে লাল জার্সিধারীরা।