রেকর্ড মুদ্রাস্ফীতি দেশে
করোনা মহামারীর সময় থেকেই ভারতের অর্থনীতি ঘাত প্রতিঘাতের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। আন্তর্জাতির বাজারে বিনিয়োগ আসা কমে গিয়েছে। শেয়ার বাজারে লাগাতার ধস নামছে। লকডাউনের কারণে ধাক্কা খেয়েছে আন্তর্জাতি বাণিজ্যও। অন্যদিকে আবার টাকার দাম পড়তে শুরু করেছে আন্তর্জাতিক বাজারে। তার জেরে প্রবল ধাক্কা এসেছে দেশের অর্থনীতিতে। আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম বৃদ্ধি থেকে শুরু করে রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধ প্রভাব ফেলেছে েদশের অর্থনীতিতে। জিনিসের দাম হু হু করে বাড়তে শুরু করেছে। পেট্রোল-ডিজেল থেকে রান্নার গ্যাস খাদ্যদ্রব্য সব কিছুর দাম হু হু করে বাড়ছে।
শীর্ষে বাংলা
রিটেল মুদ্রাস্ফীতি লাগাম ছাড়া হয়ে গিয়েছে দেশে। তালিকায় শীর্ষে পশ্চিমবঙ্গ। তৃণমূল কংগ্রেস শাসিত পশ্চিম কয়েকদিন আগেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সব মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে পশ্চিমবঙ্গকে তীব্র নিশানা করেছিলেন । তিনি অভিযোগ করেছিলেন একাধিক অবিজেপি রাজ্য ভ্যাট না কমানোয় পেট্রোলের দাম কমছে না। তার ফল ভোগ করতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। তারপরেই প্রকাশ্যে এসেছে এই তথ্য গোটা দেশে পশ্চিমবঙ্গ এবং মধ্য প্রদেশে ৯ শতাংশে পৌঁছে গিয়েছে খুচর মুদ্রাস্ফীতি। ২০১৪ সালের মে মাসেও ৮.৩৩ শতাংশ ছিল এই দুই রাজ্যের মুদ্রাস্ফীতি। পশ্চিমবঙ্গ, মধ্যপ্রদেশের পাশাপাশি খুচরো মুদ্রাস্ফীতির শীর্ষের তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে হরিয়ানা এবং তেলঙ্গানাও। দেশের সাতটি রাজ্যে মুদ্রাস্ফীতি সর্বাধিক। ৮ শতাংশ।
পিছিয়ে কেরল
খুচরো মুদ্রাস্ফীতিত তালিকায় একেবারে শেষে রয়েছে বাম শাসিত কেরল। কেরলে মুদ্রাস্ফীতি মাত্র ৫ শতাংশ রয়েছে। সেই তালিকায় রয়েছে তামিলনাড়ুও। এই দুই রাজ্যে খুচরো মুদ্রাস্ফীতি সবচেয়ে কম। একই দেশের অংশ হয়েও এই দুই রাজ্যে কীভাবে খুচরো মুদ্রাস্ফীতি এতটা কম হল তা বিশেষ নজরে আসার মত। যদিওএই দুই রাজ্যে পেট্রোল-ডিজেলের দাম কোনও অংশে কম নেই। সেখানেও ১০০ টাকা ছাড়িয়ে গিয়েছে জ্বালানি তেেলর দাম। তারপরেই মুদ্রাস্ফীতি কীভাবে নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রয়েছে সেকা খতিয়ে দেখার বিষয়।
খাদ্যদ্রব্যের রেকর্ড দাম বৃদ্ধি
ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের জেরে আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম বেড়েছে। তার জেরে ভারতেও অত্যধিক হারে বেড়েছে জ্বালানি তেলের দাম। তােতই বিভিন্ন জিনিসের পরিবহণ খরচ বেড়ে গিয়েছে। খাদ্য দ্রব্যের দাম হু হু করে বাড়তে শুরু করেেছ। ভোজ্য তেল থেকে শুরু করে খাদ্য শস্য, মশলা, সব কিছুর দামই বাড়তে শুরু করেছে। এমনকী নির্মাণ সামগ্রির দামও হু হু করে বাড়ছে। তার উপরে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক আবার রেপোরেট বাড়িয়েছে। তাতে আরও ধাক্কা খেয়েছে দেশের অর্থনীতি।