ছবি এএসআই-এর ওয়েবসাইটে
তাজমহল নিয়ে খানিকটা উত্তেজনা প্রশমনের চেষ্টা। তাজমহলকে টিকিয়ে রাখতে সেখানে যে ঘনঘন মেরামত করা হয়, সেই ছবি প্রকাশ করা হয়েছে আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার (ASI) ওয়েবসাইটে। ২২ টি বন্ধ ঘরের ছবি সেখানে প্রকাশ করা হয়েছে। ASI-এর আগ্রা বিভাগের প্রধান আরকে প্যাটেল সংবাদ মাধ্যমকে বলেছেন, ছবিগুলি ২০২২-র জানুয়ারির নিউজ লেটারের অংশ হিসেবে প্রকাশ করা হয়েছে। যে কেউ ওয়েবসাইটে গিয়ে তা দেখতে পারেন।
প্রত্নতাত্ত্বিক বিভাগের মতে, ওই ঘরগুলির মেরামতের কাজ করা হয়েছে ২০২১-এর ডিসেম্বর থেকে ২০২১-এর ফেব্রুয়ারির মধ্যে। যেখানে ব্যয় হয়েছে প্রায় ৬ লক্ষ টাকা। এর আগে ২০০৬-০৭ সালেও সেগুলিকে মেরামত করা হয়েছিল। এএসআই-এর ওয়েবসাইটে এব্যাপারে সব তথ্য আপডেট করা হয়। এবার বন্ধ ঘরগুলি যে মেরামতের জন্য খোলা হয়েছিল, সেই ছবিও আপলোড করা হয়েছে ওয়েবসাইটে।
গুজব ছড়ানো বন্ধ করতে ছবি প্রকাশ
দেশের পর্যটন মানচিত্রে বড় জায়গা রয়েছে তাজমহলের। শুধু দেশেরই নয়, বিদেশের বহু অতিথি তাজমহল দেখতে আসেন। সূত্রের দাবি, তাজমহলের বন্ধ ঘর নিয়ে গুজব ছড়ানো ঠেকাতে ছবিগুলি সবার সামনে নিয়ে আসা হয়েছে।
তাজমহলের ২২ টি ঘর খোলার দাবি
এলাহাবাদ হাইকোর্টে করা আবেদনে বলা হয়েছিল, তাজমহলের যে ২২ টি ঘর বছরের পর বছর ধরে বন্ধ রয়েছে, তা খুলে দেওয়া উচিত এবং সেখানে কী রয়েছে, তা নিয়ে এএসআইকে তদন্ত করে দেখা উচিত।
এলাহাবাদ হাইকোর্টে আবেদন খারিজ
তাজমহল নিয়ে শুনানি চলছে এলাহাবাদ হাইকোর্টের লখনৌ বেঞ্চে। সেখানেই তাজমহলের ২২ টি বন্ধ রাখা ঘর খোলার জন্য আবেদন করা হয়। আদালতের তরফে আবেদনকারীকে বলা হয়, কোনও কমিটির মাধ্যমে সত্যতা যাচাইয়ের তিনি (আবেদনকারী) কে? এটি ওই আবেদনকারীর অধিকার নয় বলেও জানিয়ে দেয় আদালত। আদালতের তরপে আরও বলা হয়েছে, আবেদনকারীকে তার আবেদনেই সীমাবদ্ধ থাকতে হবে। কেননা আবেদনকারী এখন তাজমহলের ঘর দেখার দাবি করছেন, এর পরে বলবেন, বিচারপতির চেম্বারেও যেতে দিতে হবে।
আদালতের এই অবস্থানের পরে এএসআই-এর তরফে বলা হয়েছিল, ওই বন্ধ ঘরগুলি নিয়ে কোনও গোপনীয়তা নেই। এগুলি কাঠামোরই অংশ।