ইউক্রেনের পাশে NATO!
ইউক্রেনের দু'মাস ধরে রাশিয়াকে রুখে দেওয়া এবং তারপর রবিবার ফিনল্যান্ডের ন্যাটোতে যোগ দিতে চাওয়ার ঘটনার পরই এবার সুইডেনও জানিয়েছে যল তারা ন্যাটোতে যোগ দিতে চায়৷ কারণ এই ছোটো রাষ্ট্রগুলির কাছে একটি বিষয় এখন পরিষ্কার একমাত্র ন্যাটোই পারে৷ তাদের রাশিয়ান আগ্রাসন থেকে বাঁচাতে। কারণ সরাসরি রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইউক্রেনের হয়ে যুদ্ধে যোগ না দিলেও রাশিয়াকে অর্থনৈতিকভাবে ব্যান করে ও ইউক্রেনকে সামরিক সহায়তা দিয়ে আসছে ন্যাটো ও ন্যাটোভুক্ত দেশগুলি৷
কী বলছেন সুইডেনের প্রধানমন্ত্রী?
সুইডেনের সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক প্রধানমন্ত্রী ম্যাগডালেনা অ্যান্ডারসন বলেন, 'সুইডেনের নিরাপত্তার জন্য সবচেয়ে ভালো জিনিস হল আমরা এখন ন্যাটোর সদস্যপদ পাওয়ার জন্য আবেদন করছি এবং আমরা ফিনল্যান্ডের সঙ্গে এই আবেদনটি করেছি৷' ন্যাটোর প্রধান এই দুই রাষ্ট্রের ন্যাটোর সদস্যপদ নিয়ে নতুন আবেদনর পরিপ্রেক্ষিতে বলেছেন, যে রাশিয়া-ফিনল্যান্ড, -সুইডেন সীমান্ত অঞ্চলে সৈন্য বাড়ানো সহ আবেদনগুলি প্রক্রিয়া করার সময় অন্তর্বর্তীকালীন সুরক্ষার গ্যারান্টি দেওয়া হবে। বার্লিনে, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেছেন যে তিনি তুরস্কের কাছ থেকেও খুব শক্তিশালী সমর্থন শুনেছেন ইউক্রেনের জন্য।
সুইডেন-ফিনল্যান্ডের ভয় পাওয়ার কিছু নেই, বলছে রাশিয়া!
স্টলটেনবার্গ বলেছেন যে আপাত ভাবে সুইডেন ও ফিনল্যান্ডের ন্যাটোর সদস্যপদ পাওয়ার ক্ষেত্রে বড় বাধা নেই৷ অন্যদিকে ক্রেমলিনের পক্ষ থেকে জোর দিয়ে বলা হয়েছে নর্ডিক দেশগুলোর রাশিয়াকে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। প্রসঙ্গত এদিন রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রক দাবি করেছে যে তারা পূর্ব ইউক্রেনের দোনেৎস্ক এলাকায় চারটি আর্টিলারি অস্ত্রের ডিপোতে আঘাত করেছে। বিমান হামলায় দুটি ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ ব্যবস্থা এবং রাডারও ধ্বংস করেছে। দোনেস্ক এবং লুগানস্কের আশেপাশে ১৫টি ইউক্রেনীয় ড্রোনকে নামিয়ে এনেছে বলেও দাবি করেছে মস্কো!
পোল্যান্ড সীমান্তেও রাশিয়ার আক্রমণ!
আবার, পোলিশ সীমান্তের কাছে লভিভের আঞ্চলিক গভর্নর ম্যাকসিম কোজিটস্কি বলেছেন যে চারটি রুশ ক্ষেপণাস্ত্র পোল্যান্ডের সীমান্তের কাছে সামরিক কাঠামোতে আঘাত করেছে। যদিও কোন হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি এবং ইউক্রেনের সশস্ত্র বাহিনী বলেছে যে তারা এই অঞ্চলে দুটি ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করেছে। লভিভ শেষবার রুশ ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাত হয়েছিল ৩ মে। অন্যদিকে ইংল্যান্ডের প্রতিরক্ষা প্রধানদের দাবি পূর্ব ডনবাস অঞ্চলে রাশিয়ার আক্রমণ গতি হারিয়েছে। হতাশাগ্রস্ত রাশিয়ান সৈন্যরা উল্লেখযোগ্য জয়লাভ করতে ব্যর্থ হয়েছে এবং মস্কোর যুদ্ধ পরিকল্পনা অনেকটাই ব্যর্থ হয়েছে৷