নেপাল সফরে প্রধানমন্ত্রী
বুদ্ধ পূর্ণিমার বিশেষ দিনে নেপাল সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। প্রতিবেশী দেশ নেপালের সঙ্গে গত কয়েক বছরে সম্পর্কের অবনতি হয়েছে ভারতের। লাদাখ এবং ডোকালা সীমান্তে চিনের সঙ্গে বিবাদের পর থেকেই নেপালের সঙ্গেও একাধিক ইস্যুতে মত পার্থক্য তৈরি হয়েছিল। এমনকী নেপালের মানচিত্র বদল নিয়েও দুই দেশের মধ্যে চাপা উত্তেজনা তৈরি হয়েছিল। সেই পরস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী মোদীর এই নেপাল সফর অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। বিশেষ করে বুদ্ধ পূর্ণিমার দিনে মোদীর নেপাল সফর ভারতীয়দের কাছেও গুরুত্বপূর্ণ।
লুম্বিনি পরিদর্শনে মোদী
বুদ্ধ পূর্ণিমার বিশেষ দিনে লুম্বিনী যাবেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। গৌতম বুদ্ধে জন্মভিেট পরিদর্শন করবেন তিনি। উত্তর প্রদেশ হয়ে নেপাল যাওয়ার কথা মোদীর। সকালে উত্তর প্রদেশের কুশীনগরে উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের সঙ্গে দেখা করবেন তিনি। সেখান থেকে হেলিকপ্টানে নেপালে রওনা হবেন। বুদ্ধ পূর্ণিমার বিশেষ দিনে নেপালের লুম্বিনীতে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। সেখানে নেপালের প্রধানমন্ত্রী শের বাহাদুর দেউবার সঙ্গে যাবেন তিনি।
কী কী কর্মসূচি রয়েছে মোদীর
এক দিনের নেপাল সফরের প্রথমেই প্রধানমন্ত্রী মায়াদেবীর মন্দিরে পুজো দেবেন। এরপর লুম্বিনী উন্নয়ন ট্রাস্টের অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন তিনি। সেখান থেকে যাবে সেন্টার ফর বুদ্ধিস্ট কালচার অ্যান্ড হেরিেটজের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করবেন প্রধানমন্ত্রী। ভারতের আর্থিক সহযোগিতায় তৈরি হবে এটি। এরপর নেপালের প্রধানমন্ত্রী শের বাহাদুর দেউবার সঙ্গে বৈঠক রয়েছে তাঁর। সেই বৈঠকের ভারত-নেপাল দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নয়নে পাঁচটি মৌ স্বাক্ষর করবেন তাঁরা। বৈঠক শেষ করে আবার উত্তর প্রদেশের কুশীনগরে ফিরে আসবেন প্রধানমন্ত্রী মোদী।
দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নয়ন
গত কয়েক মাসে নেপালের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের অবনতি হয়েছিল। দেউবার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আগে পর্যন্ত নেপালের সঙ্গে সম্পর্কে চিড় ধরেছিল ভারতে। নেপথ্যে চিনের মদত ছিল বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। কিন্তু দেউবা প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর ৩ বার ভারত সফরে এসেছেন। এদিকে প্রধানমন্ত্রী মোদীও ২০১৪ সালের পর এই নিয়ে পঞ্চমবার নেপাল সফরে যাচ্ছেন।