নেপাল সফরে মোদী
বুদ্ধ পূর্ণিমার বিশেষ দিনে নেপাল সফরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। উত্তর প্রদেশের কুশীনগর থেকে হেলিকপ্টারে নেপালের লুম্বিনীতে যান তিনি। সেখানে গৌতম বুদ্ধের জন্মভিঁটে ঘুরে দেখেন। বুদ্ধিস্ট কনফারেন্সেও যোগ দিয়েছিলেন তিনি। সেখানে তাঁর সঙ্গে ছিলেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী শের বাহাদুর দেউবা। বুদ্ধ পূর্ণিমার দিন মোদীর এই নেপাল সফর অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর এই নিয়ে পঞ্চমবার নেপাল সফরে গেলেন মোদী।
বন্ধুত্বের বার্তা
লাদাখে চিনের সঙ্গে যখন ভারতের সংঘাত তুঙ্গে ঠিক তখনই নেপালের সঙ্গে টানাপোড়েন শুরু হয়েছিল ভারতের। নেপালের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী। নেপাল ভারতের সীমান্ত বন্ধ করে দিয়েছিল। এই টানা পোড়েনের পর নতুন মুখ্যমন্ত্রী শের বাহাদুর দেউবা উদ্যোগী হন ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক তৈরি করতে। তিনি নিজে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর ২ বার ভারত সফরে এসেছিলেন। তারপরেই মোদীর এই ভারত সফর। লুম্বিনীতে প্রধানমন্ত্রী মোদী দুই দেশের মধ্যে বন্ধু সুদৃঢ় করার বার্তা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন নেপানের সঙ্গে কখনও বন্ধুত্ব ক্ষুন্ন হবে না ভারতের। হিমালয়ের মতই দৃঢ় তাঁদের সম্পর্ক।
বুদ্ধ স্মরণ মোদীর
বুদ্ধ পূর্ণিমায় প্রধানমন্ত্রী মোদী বুদ্ধের কথা স্মরণ করিয়েছেন। তিনি বলেছেন গোটা বিশ্বে এখন যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তাতে দুই দেশের মধ্যে পারস্পরিত সহযোগিতা আরও বাড়িতে তুলতে হবে। পারস্পতির সহযোগিতা আরও গভীর করে তুলতে হবে। যে বানী ভগবান বুদ্ধ দিয়ে গিয়েছেন সেই পথেই চলতে হবে সকলকে। তবেই এই কঠিন পরিস্থিতিতে মানবিকতা আর সৌভ্রাতৃত্বের বন্ধনে আবদ্ধ থাকতে পারবেন সাধারণ মানুষ।
একাধিক মৌস্বাক্ষর
মোদী লুম্বিনী সফরের পর প্রধানমন্ত্রী শের বাহাদুর দেউবার সঙ্গে মধ্যাহ্ন ভোজন করেন। তারপরেই তিনি ফের দেশে ফিরে আসেন। প্রধানমন্ত্রী এই সফর ঘিরে নতুন করে দুই দেশের সম্পর্কে আরও মজবুত হয়েছে। যদিও প্রথম থেকেই নেপালের সঙ্গে সুসম্পর্ক রয়েছে ভারতের। মাঝে একটু চিড় ধরলেও করোনা পরিস্থিতিতে বন্ধুত্বের সম্পর্কই বজায় রেখেছে নেপাল।