সাসপেনশন উঠছে, রীতেশের মতো আদি নেতাদের গুরুত্ব দিতে কী পরিকল্পনা বঙ্গ বিজেপির

বঙ্গ বিজেপির বর্তমান নেতৃত্বের বিরুদ্ধে মুখ খোলায় সাময়িক সাসপেনশনের মুখে পড়েছিলেন রীতেশ তিওয়ারি, জয়প্রকাস মজুমদাররা। জয়প্রকাশ বিজেপি ছেড়ে উড়ে গিয়েছে তৃণমূলে। আদি বিজেপি রীতেশ পড়েই ছিলেন একধারে। এবার তাঁর সাসপেনশন তুলে সক্রিয় করার উদ্যোগ নিল বিজেপি। কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের নির্দেশে গুরুত্ব ফিরে পেতে চলেছেন আদি নেতারা।

পুরনোদের গুরুত্ব বাড়াতে হবে, নির্দেশ

বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব চাইছে চটজলদি বঙ্গ নেতৃত্বের কোন্দল দূর করতে। সেই কারণেই নির্দেশিকা জারি করেছে দলের কর্মসমিতির বৈঠকে পুরনো নেতাদের ডাকতে হবে। প্রয়োজনে কর্মসমিতির সদস্য সংখ্যা বাড়িয়ে আদি বা পুরনো নেতাদের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। মোট কথা পুরনোদের গুরুত্ব বাড়াতে হবে। তাদের সঠিক কাজে লাগাতে হবে। দূরে সরিয়ে রাখলে হবে না।

বিজেপিতে বিক্ষোভ-বিদ্রোহ জারি

সম্প্রতি বঙ্গ বিজেপিতে অনভিজ্ঞ সুকান্ত মজুমদার ও অমিতাভ চক্রবর্তীদের নিয়ে বিদ্রোহ দেখা দেয়। তাঁদের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রদর্শন করে অনেকেই সরব হন। তাঁদের মধ্যে জয়প্রকাশ মজুমদার ও রীতেশ তিওয়ারিকে সাসপেন্ড করে বিজেপি। তারপরও অবশ্য বিজেপিতে বিদ্রোহ কমেনি। সম্প্রতি মতুয়া সমাজের জনপ্রতিনিধিরা নীরব রয়েছেন। তবে অন্যত্র বিক্ষোভ-বিদ্রোহ জারি রয়েছে।

কর্মসমিতির বৈঠকে পুরনো নেতাদের আমন্ত্রণ

এই অবস্থায় কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব সুকান্ত-অমিতাভজের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, যে কোনও মূল্যে গোষ্ঠী কোন্দল ও বিদ্রোহ ঠেকাতে হবে। এরপরই বঙ্গ বিজেপির ক্ষমতাসীন শিবির চাপে পড়ে পুরনোদের নিয়ে ভাবনা-চিন্তা শুরু করে দিয়েছে। দিল্লির শীর্ষ নেতৃত্বের নির্দেশ মেনে রাজ্য কর্মসমিতির বৈঠকে পুরনো নেতাদের আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে।

বিজেপিতে মুখ ফিরিয়ে রয়েছেন যাঁরা

বঙ্গ বিজেপি একইসঙ্গে রাজ্যের প্রাক্তন সহ সভাপতি রীতেশ তিওয়ারিকে ফেরানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তাঁকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছিল। সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছিল জয়প্রকাশ মজুমদারকেও। তিনি ইতিমধ্যেই যোগ দিয়েছেন তৃণমূলে। ফলে তাঁকে আর ফেরানোর প্রশ্ন নেই। তবে যে সমস্ত আদি নেতা বিজেপিতে মুখ ফিরিয়ে রয়েছেন, তাঁদের সক্রিয় করার চেষ্টা চলবে। তাঁদের কর্মসমিতির বৈঠকে ডাকা হবে।

আদি নেতারা নিষ্ক্রিয়, ফল ভুগেছে বিজেপি

সুকান্ত মজুমদার রাজ্য সভাপতি হওয়ার পর রাজ্য সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) অমিতাভ চক্রবর্তী জেলা সংগঠন আমূল বদল করেন। সিংহভাগ পুরনো নেতাদের বাদ দেওয়া হয়। সেটাই গাত্রদাহের কারণ হয়ে ওঠে। আদি নেতারা নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েন। দলে ক্ষোভ চরম আকার নেয়। বিদ্রোহ শুরু হয়ে যায় জেলায় জেলায়।

আদি নেতাদের ফের বিজেপিমুখী করার প্রয়াস

এই অবস্থায় বঙ্গ বিজেপির উপর গর্জে ওঠেন কেন্দ্রীয়মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর থেকে শুরু করে মতুয়া মহলের পাঁচ বিধায়ক, কেন্দ্রীয় সম্পাদক অনুপম হাজরা, সাংসদ সৌমিত্র খাঁ, বিজেপির প্রাক্তন নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার, প্রাক্তন সহ সভপাতি রীতেশ তিওয়ারি প্রমুখ। এমনকী বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভপাতি কথা প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ পর্যন্ত সরব হন সুকান্ত-অমিতাভদের অনভিজ্ঞতা নিয়ে। সম্প্রতি অমিত শাহ বাংলা সফরে আসার পর সেইসব আদি নেতাদের ফের বিজেপিমুখী করার প্রয়াস শুরু হয়েছে।

যত কারচুপি ইভিএমেই , চিন্তন শিবিরে ব্যালট বক্সের পক্ষ নিচ্ছেন কংগ্রেস নেতারা যত কারচুপি ইভিএমেই , চিন্তন শিবিরে ব্যালট বক্সের পক্ষ নিচ্ছেন কংগ্রেস নেতারা

More SUKANTA MAJUMDAR News  

Read more about:
English summary
BJP takes master plan to active party’s old leaders who were inactive in reign of Sukanta Majumdar
Story first published: Sunday, May 15, 2022, 16:59 [IST]