|
প্রধানমন্ত্রীর বার্তা
প্রধানমন্ত্রী টুইটে লেখেন, ভারতের ব্যাডমিন্টন দল ইতিহাস রচনা করল। ভারত থমাস কাপ জেতায় গোটা দেশ গর্বিত ও উল্লসিত। দলের প্রত্যেককে অভিনন্দন জানানোর পাশাপাশি ভবিষ্যতের জন্য শুভেচ্ছাও জানিয়েছেন নরেন্দ্র মোদী। এই সাফল্য উদীয়মান ক্রীড়াবিদদেরও অনুপ্রাণিত করবে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
|
ষষ্ঠ দেশ হিসেবে ঐতিহাসিক সাফল্য
ষষ্ঠ দেশ হিসেবে থমাস কাপ জিতল ভারত। প্রথমবার ফাইনালে উঠেই বাজিমাত। তাও আবার টুর্নামেন্টের ইতিহাসে সফলতম দেশকে হারিয়ে। পুরুষদের ব্যাডমিন্টনে ঐতিহ্যশালী এই টুর্নামেন্ট ১৪ বার জিতেছে ইন্দোনেশিয়া (১৯৫৮, ১৯৬১, ১৯৬৪, ১৯৭০, ১৯৭৩, ১৯৭৬, ১৯৭৯, ১৯৮৪, ১৯৯৪, ১৯৯৬, ১৯৯৮, ২০০০, ২০০২ ও ২০২০)। ১৯৬১, ১৯৭৩, ১৯৭৯ ও ১৯৯৪ সালে ইন্দোনেশিয়া খেতাব জেতে আয়োজক দেশ হিসেবে। ৭ বার তারা রানার-আপ হয়েছে। চিন থমাস কাপ জিতেছে দশবার (১৯৮২, ১৯৮৬, ১৯৮৮, ১৯৯০, ২০০৪, ২০০৬, ২০০৮, ২০১০, ২০১২ ও ২০১৮ সালে), ২০১২ সালে আয়োজক দেশ হিসেবে। চিন রানার-আপ হয় তিনবার। মালয়েশিয়া (পূর্বতন মালয়) পাঁচবার জিতেছে থমাস কাপ। ১৯৪৯, ১৯৫২, ১৯৫৫, ১৯৬৭ ও ১৯৯২ সালে খেতাব জেতার পাশাপাশি তারা ৯ বারের ফাইনালিস্ট। ১৯৯২ সালে আয়োজক দেশে হিসেবে খেতাব জেতে মালয়েশিয়া। ২০১৬ সালে ডেনমার্ক থমাস কাপ জেতে, তারা ফাইনাল খেলেছে ৮ বার। ২০১৪ সালে খেতাব জেতে জাপান, ২০১৮ সালেও তারা ফাইনালে উঠেছিল। দক্ষিণ কোরিয়া ২ বার এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও তাইল্যান্ড ১ বার করে ফাইনালে উঠলেও খেতাব অধরাই থেকেছে।
|
কীভাবে চ্যাম্পিয়ন?
ডেনমার্ককে হারিয়ে ভারত পৌঁছে গিয়েছিল ফাইনালে। নক আউট পর্বে সিঙ্গলসে জয় না পেলেও ফাইনালে ভারতের ভালো শুরু নিশ্চিত করে দেন লক্ষ্য সেন। পিছিয়ে পড়েও বিশ্বের পাঁচ নম্বর তারকা অ্যান্টনি সিনিসুকার বিরুদ্ধে জেতেন তিনি। খেলার ফল ৮-২১, ২১-১৭, ২১-১৬। এরপর ভারতকে ২-০ লিড এনে দেয় বিশ্বের আট নম্বর সাত্বিকসাইরাজ রাঙ্কিরেড্ডি ও চিরাগ শেট্টির ডাবলস জুটি। মহম্মদ আহসান ও কেভিন সঞ্জয়া সুকামুলজো জুটির কাছে প্রথম গেম তাঁরা পরাস্ত হয়েছিলেন ১৮-২১ ব্যবধানে। দ্বিতীয় গেমে চারটি ম্যাচ পয়েন্ট বাঁচিয়ে চিরাগ-সাত্বিকসাইরাজ জয় নিশ্চিত করেন ২৩-২১ ব্যবধানে। এরপর নির্ণায়ক গেমটিতে কিছুক্ষণ পিছিয়ে গেলেও শেষমেশ ভারতীয় জুটি জয় নিশ্চিত করে ২১-১৯ ব্যবধানে। এরপর সিঙ্গলসে দাপুটে জয় কিদাম্বি শ্রীকান্তের। এশিয়াম গেমসে সোনাজয়ী জনাথন ক্রিস্টিকে তিনি মাত্র ৪৮ মিনিটে উড়িয়ে দেন ২১-১৫, ২৩-২১ ব্য়বধানে।
|
অভিনন্দনের জোয়ারে শাটলাররা
আমজনতা থেকে সেলেব- সকলেই ভারতীয় ব্যাডমিন্টনের এই সোনালি দিনের সোনালি সাফল্যে উচ্ছ্বসিত। মন্ত্রী থেকে রাজনীতিবিদ, সমাজের বিভিন্ন জগতের মানুষ এই ঐতিহাসিক সাফল্য নিশ্চিত করার জন্য গোটা ভারতীয় দলকে জানাচ্ছেন অভিনন্দন, কুর্নিশ। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, কেন্দ্রীয় যুবকল্যাণ ও ক্রীড়ামন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর থেকে শুরু করে বিরাট কোহলি, সুনীল ছেত্রী, সাইনা নেহওয়ালরাও সোশ্যাল মিডিয়ায় দিয়েছেন অভিনন্দন-বার্তা।