দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে ‘বাদ’ পড়বেন যাঁরা
অধিনায়ক রোহিত শর্মা এবং বিরাট কোহলি, কেএল রাহুল, ঋষভ পান্থ-সহ প্রথম একাদশের অনেককেই জুলাই মাসে ইংল্যান্ড সফরের কথা ভেবে বিশ্রাম দেওয়ার ভাবনা রয়েছে বিসিসিআইয়ের। ফলে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে আসন্ন পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের জন্য তরুণ ক্রিকেটারদের বেছে নিতে পারে ভারত।
কার কাঁধে উঠতে পারে অধিনায়কত্বের গুরুভার
এই পরিস্থিতিতে জাতীয় নির্বাচক কমিটি অধিনায়কের ব্যাটন তুলে দেওয়ার জন্য দুটি নাম নিয়ে খুব চর্চা চলছে। অভিজ্ঞ ওপেনার শিখর ধাওয়ান এবং অলরাউন্ডার হার্দিক পান্ডিয়ার কাঁধে উঠতে পারে এই গুরুভার। এবার আইপিএলে গুজরাট টাইটান্সের হয়ে অধিনায়কত্বে সবাইকে মুগ্ধ করেছেন পান্ডিয়া। দক্ষিণ আফ্রিকা এবং আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজে তাঁকে অধিনায়ক করতে চমক দিতে পারে বিসিসিআই। এই লড়াইয়ে রয়েছেন ধাওয়ানও। ধাওয়ান এবার আইপিএলের কোনও ফ্র্যাঞ্চাইজির অধিনায়কত্ব করছেন না। তবে তাঁর অভিজ্ঞতার উপর ভরসা রাখতে পারে জাতীয় নির্বাচকরা।
মুম্বইতে ভারতীয় দল বাছাইয়ের অপেক্ষা
প্রোটিয়াদের বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরু হচ্ছে ৯ জুন। দিল্লির হবে উদ্বোধনী ম্যাচ। বাকি ম্যাচগুলি যথাক্রমে কটক, বিশাখাপত্তনম, রাজকোট এবং বেঙ্গালুরুতে অনুষ্ঠিত হবে। দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজের জন্য ভারতীয় স্কোয়াড বাছাই করা হতে পারে ২২ মে আইপিএলের এই সংস্করণের লিগ পর্বের শেষ দিন মুম্বইতে হতে পারে দল বাছাইয়ের কাজ।
জুলাইয়ের শুরুতে ইংল্যান্ড সফর, তাই বিশ্রাম
বিশেষ সূত্রের খবর ফর্মের বাইরে থাকা বিরাট কোহলিকে বিশ্রাম দেওয়া হচ্ছে দক্ষিণ আফ্রিকা সফর থেকে। জাতীয় নির্বাচকরা মনে করছেন, জুলাইয়ের শুরুতে ইংল্যান্ড সফরটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। তার আগে সিনিয়র ক্রিকেটারদের তরতাজা রাখতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে। কোহলির পাশাপাশি রোহিত, পান্থ, রাহুল, বুমরাহকেও বিশ্রাম দেওয়া হতে পারে।
সাড়ে তিন সপ্তাহ সম্পূর্ণ বিশ্রাম সিনিয়রদের
এই সিদ্ধান্তের ফলে ভারতের প্রথম একাদশের গুরুত্বপূ্র্ণ ক্রিকেটার বা সিনিয়র ভারতীয় খেলোয়াড়রা কমপক্ষে সাড়ে তিন সপ্তাহ সম্পূর্ণ বিশ্রাম পাবেন। রোহিত, বিরাট, রাহুল, ঋষভ এবং বুমরাহ সবাই সাদা বলের সিরিজের পর টেস্ট সিরিজ খেলতে সরাসরি ইংল্যান্ডে যাবেন। ইংল্যান্ড সিরিজের জন্য আমাদের সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়দের সতেজ থাকতে হবে। বিসিসিআই সূত্রে নাম প্রকাশ না করার শর্তে এমনটাই জানানো হয়েছে।
অধিনাকত্বের লড়াইয়ে ধাওয়ান বনাম পান্ডিয়া
বিসিসিআইয়ের এই সিদ্ধান্তের নিলে, ভারতের সমস্ত সিনিয়র অল-ফরম্যাটের খেলোয়াড়দের পরবর্তী সাতটি টি-টোয়েন্টি আন্তর্জাতিকের অংশ নেওয়া হবে না। অধিনায়কত্ব সম্পর্কে জানতে চাইলে সূত্রটি জানিয়েছে, "নির্বাচকদের কয়েকটি পছন্দ রয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম শিখর ধাওয়ান। যেহেতু তিনি ইতিমধ্যেই গত বছরের শ্রীলঙ্কা সিরিজে বিরাট, রোহিত এবং রাহুলের অনুপস্থিতিতে ভারতের অধিনায়কত্ব করেছেন। রয়েছেন গুজরাট টাইটান্সের অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়া। তাঁর চিত্তাকর্ষক অধিনায়কত্ব অলক্ষিত হয়নি।
বোলিং এক্সপ্রেসে লড়াই উমরান-মহসিনের
দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজের জন্য ফাস্ট বোলার হিসেবে দুটি নাম নিয়ে এবার জোর চর্চা হবে। মহসিন খান ও উমরান মালিক। উমরান মালিক ১৫০ কিলোমিটার প্লাস গতিতে বল করছেন। সাফল্যও পেয়েছেন। আর গতির সঙ্গে বৈচিত্রের মেলবন্ধনে চমক দিয়েছেন মহসিন খান। তিনিও রয়েছেন লড়াইয়ে। আবার ডেথ ওভার বিশেষজ্ঞ অর্শদীপ সিংও নজর কেড়েছেন আইপিএলে। লড়াইয়ে 'ডার্ক হর্স' হিসেবে আবির্ভূত হচ্ছেন লখনউ সুপার জায়ান্টসের বাঁহাতি মহসিন খান।
ব্যাটিং ইউনিটে কারা সুযোগ পাবেন
এটা বোঝা যাচ্ছে যে সম্প্রতি শ্রীলঙ্কা এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে খেলা বেশিরভাগ খেলোয়াড়কে তাদের বর্তমান আইপিএল ফর্ম বিচার করে ধরে রাখা হবে। স্পষ্টতই সূর্যকুমার যাদব বা রবীন্দ্র জাদেজার চোট একটা ফ্যাক্টর। চোট রয়েছে দীপক চাহারেরও। ফলে তিনিও থাকবেন না স্কোয়াডে। ঋতুরাজ গায়কোয়াড়, ইশান কিষান, শ্রেয়াস আইয়ার, দীপক হুডা-সহ ধাওয়ান এবং হার্দিকের মতো তারকাদের দিয়ে ব্যাটিং ইউনিটের গঠন করা হতে পারে। সঞ্জু স্যামসনকেও রাখা হতে পারে স্কোয়াডে।
বোলিং বিভাগে থাকতে পারেন যাঁরা
পেস বোলিং বিভাগে ভুবনেশ্বর কুমার, প্রসিধ কৃষ্ণ, হর্ষাল প্যাটেল, আবেশ খান থাকবেন। আসতে পারেন উমরান, মহসিন বা অর্শদীপরা। আইপিএলের তারকা স্পিন জুটি রবিচন্দ্রন অশ্বিন এবং যুজবেন্দ্র চাহালের দলে থাকা নিশ্চিত। কুলদীপ যাদবও টিকিট পেয়ে যেতে পারেন দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের। ফলে এবার দক্ষিম আফ্রিকা সফরের জন্য সাহসী সিদ্ধান্ত নিতে চলেছেন জাতীয় নির্বাচকরা।