মাত্র ৪৬ বছর বয়সে পথ দুর্ঘটনায় প্রয়াত হয়েছেন অ্যান্ড্রু সাইমন্ডস। নিজের সময়ের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার ছিলেন সাইমন্ডস। শুধু ক্রিকেটার হিসেবেই তিনি দক্ষ ছিলেন, ক্রিকেট ফিল্ডে কোনও অনুপ্রবেশকারী এই খেলার মাহাত্মকে খর্ব করার চেষ্টা করলে মাঠের মধ্যে তিনি থাকলে তার প্রতিবাদ করতেন। যাঁরা মধ্যে ঢুকে এই খেলায় ব্যঘাত ঘটানোর চেষ্টা করতেন তাঁদের কাছে সাইমন্ডস ছিলেন ত্রাসের কারণ। একাধিক ক্ষেত্রে প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে অনুপ্রবেশকারীদের বিরুদ্ধে কতটা কঠিন হয়ে উঠতে পারেন তিনি।
১৯৯৭ সালে পারথে অস্ট্রেলিয়ার ঘরোয়া ক্রিকেটে কুইন্সল্যান্ড বনাম ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে হওয়া এক দিনের ম্যাচে হঠাৎই মাঠের মধ্যে ঢুকে পড়েন এক অনুপ্রবেশকারী। খেলায় ব্যাঘাত ঘটাতে এসেছিলেন তিনি। কিন্তু তিনি বুঝতে পারেননি পরবর্তীতে এর ফলে কী হতে পারে তাঁর সঙ্গে। ওই অনুপ্রবেশকারী ম্যাচ বলটি তুলে নেওয়ার চেষ্ট করেছিলেন কিন্তু সেটা করার আগেই ফিল্ডিং করা সাইমন্ডস সিদ্ধান্ত নিয়ে নেন ওই ব্যক্তিকে ধরার। ধাওয়া করেন তিনি মাঠের মধ্যেই খালি গায়ে মাঠে ঢোকা অনুপ্রবেশকারীটিকে। সাইমন্ডসের নাগালের মধ্যে প্রায় এসেও পড়েছিল সে। ধাওয়া করে ওই অনুপ্রবেশকারীর মাঠ থেকে বেরনোই অনিশ্চিত করে ফেলেছিলেন সাইমন্ডস। তবে, শেষ পর্যন্ত কোনও ক্রমে মাঠ থেকে বেরিয়ে, গ্যালারিতে না থেকে সরাসরি স্টেডিয়াম থেকে দৌড়ে বেড়িয়ে যান ওই ব্যক্তি।
এটাই প্রথম ঘটনা নয়, ২০০৮ সালে সিবি ফাইনালে মেলবোর্নে হওয়া ভারত বনাম অস্ট্রেলিয়ার ফাইনালে মাঠের মধ্যে আবারও এক অনুপ্রবেশকারী ঢুকে পড়েন। উলঙ্গ হয়ে মাঠের মধ্যে দৌড় শুরু করে দেন তিনি এবং নিরাপত্তারক্ষীরা তাঁকে ধাওয়া করে। পরবর্তীতে জানা যায় ওই ব্যক্তির নাম রবার্ট ওগিলভি। তাঁর ওই মাঠে মাঠে ঢোকার মোটিভ যাই থাকুক না কেন, সাইমন্ডসের মুখোমুখি হওয়ার মোটিভ যে ছিল না তা নিশ্চিত। এই ঘটনার একটু আগেই ক্রিজে নেমেছিলেন সাইমন্ডস। সাইমন্ডসের ধাক্কায় ওই ব্যক্তি ভূপতিত হন।