অসমে বন্যা
বন্যায় ভাসছে অসম। তাও আবার মে মাসে। যখন প্রবল গরম পড়ার কথা তখন বন্যা। গতকাল থেকে কার্বি আংলং জেলার একাধিক জায়গায় প্রবল বৃষ্টি শুরু হয়েছে। বৃষ্টির দাপট এতটাই যে জেলার একাধিক গ্রামে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। রাজ্য সড়কের উপর দিয়ে জল বইছে। কার্যত ভেসে গিয়েছে রাস্তা। সেকারণে কার্বি অংলং জেলার সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। আজও সকাল থেকে মেঘলা আকাশ বৃষ্টির সতর্কতা জারি করা হয়েছে। আইএমডির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে আগামী কয়েকদিন অসমে ভারী বৃষ্টি চলবে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য মার্চের শেষে অসবে প্রবল কালবৈশাখীর দাপট দেখা গিয়েছে।
ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি
শুধু অসম নয় আইএমডির পক্ষ থেকে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা দারি করেছে মেঘালয়, মিজোরাম, পশ্চিমবঙ্গের উত্তরভাগে। অর্থাৎ হিমালয় সংলগ্ন উত্তরপূর্বের রাজ্যগুলতে আগামী তিনদিন ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণের পূর্বাভাস রয়েছে। ১৮ মে পর্যন্ত চলবে ভারী বৃষ্টি। গতকাল থেকে অসমে শুরু হয়েছে বৃষ্টি।তাতেই বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বিভিন্ন জায়গায় সেই বৃষ্টির দাপট বাড়লে পরিস্থিতি আর খারাপ হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দুর্গতদের মধ্য ত্রাণ বিলির বন্দোবস্ত করা হয়েছে।
ধসে মৃত্যু
প্রবল বর্ষণের জেরে অসমের হাফলং জেলায় ধসে ৩ জন মারা গিয়েছেন। তারমধ্যে একজন মহিলা। বন্যা পরিস্থিতির কারণে অসমের ৬ জেলায় ২৫,০০০ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। দুর্গতদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে আসা হচ্ছে। রাজ্যের বিপর্যয় মকাবিলা দল উদ্ধারকাজ শুরু করেছে। কাছাড়, জেমাজি, কার্বি আংলং, নওগাঁও এবং কামরূপ জেলার ৯৪টি গ্রাম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। দুর্গতদের ত্রাণ শিবিরে সরিয়ে আনা হচ্ছে। অসময়ে বর্ষণের জেরে চাষের বিপুল ক্ষতি হয়েছে। ১৭৩২.৭২ হেক্টর জমির ফসল নষ্ট হয়ে গিয়েছে বন্যার জেরে।
দিল্লিতে জারি কমলা সতর্কতা
একদিকে যখন বৃষ্টিতে ভাসছে অসম অন্যদিকে তখন দিল্লিতে কমলা সতর্কতা জারি করল আইএমডি। রাজধানী দিল্লিতে আগামী তিনদিন তাপপ্রবাহ চলবে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। তাপমাত্রা ৪৮ ডিগ্রি সেলসিয়ায় পর্যন্ত পৌঁছে যেতে পারে বলে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। তাপপ্রবাহ চলবে রাজস্থানে। ইতিমধ্যেই রাজস্থান, হরিয়ানা, পাঞ্জাব, উত্তর প্রদেশের একাধিক জায়গার তাপমাত্রা ৪৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছে গিয়েছে। সেই তাপমাত্রা আগামী ৩ দিনে এর থেকে বাড়বে বলে শঙ্কার কথা শুনিয়েছে আইএমডি।