খোলা মনে বড় শট
কেকেআরের চলতি আইপিএলে ব্যর্থতার বড় কারণ ব্যাটিং। ওপেনিং স্লট-সহ ব্যাটিং অর্ডারে রদবদলেই যে বিপর্যয় তেমনটাই মত অনেকের। যদিও মুম্বই ইন্ডিয়ান্সে প্রথম একাদশে ব্যাপক রদবদল এনে জেতে কেকেআর। কামব্যাক ম্যাচে ভরসা দিয়েছেন ভেঙ্কটেশ আইয়ার। নীতীশ রানা ও রিঙ্কু সিং মিডল অর্ডারে আস্থার মর্যাদা রাখছেন। মিডল অর্ডার থিতু হওয়ায় শ্রেয়সকে খোলা মনে খেলার পরামর্শ দিলেন সানি। স্টার স্পোর্টসের ক্রিকেট লাইভ অনুষ্ঠানে গাভাসকর বলেন, শ্রেয়স কেকেআরের প্রিমিয়ার প্লেয়ার। যে কোনও দলেরই তিনি প্রধান ক্রিকেটার। দেখে ভালো লাগছে, কেকেআরে ব্যাটিংয়ের বোঝা শ্রেয়সকে একা আর বইতে হবে না। নীতীশ রানা, রিঙ্কু সিংরা ঝোড়ো ইনিংস খেলছেন। এতে শ্রেয়স আরও আত্মবিশ্বাসী হয়ে স্বাধীনভাবে প্রথম থেকেই বড় শট খেলতে পারবেন।
সঠিক দিশা দেখানোর ক্ষমতা
শ্রেয়স আইয়ারের চাপ সামলানোর দক্ষতার প্রশংসা করেছেন মহম্মদ কাইফ। তাঁর মতে, শ্রেয়স নাইটদের সঠিক পথের দিশাই দেখাতে সফল হবেন। কাইফ বলেন, শ্রেয়স ক্লাস ব্যাটার। তিনি জানেন চাপের মুখে কীভাবে খেলতে হয় এবং ধারাবাহিকভাবে রান করা যায়। বড় এবং একইসঙ্গে প্রভাব ফেলার মতো ইনিংস খেলতে তিনি পারদর্শী। তিনি দারুণ অধিনায়কও। ফলে নিজের ব্যাটিংয়ের মাধ্যমেই কেকেআরকে সঠিক দিশা দেখাতে পারবেন।
ব্যাটিংয়ের দুর্বল দিক
প্রশংসা করলেও শ্রেয়সের ব্যাটিংয়ের দুর্বল দিকটিতেও আলোকপাত করেছেন কাইফ। তিনি বলেন, শ্রেয়সের ব্যাটিংয়ে দুর্বলতা একটি জায়গাতেই। লেগ স্পিনারদের তিনি ভালোভাবে সামলাতে পারেন না। লেগ স্পিনারদের হাওয়ায় বল ভাসানো ও ঘূর্ণি আঁচ করতে তাঁর সমস্যা রয়েছে। লেগ স্পিনারদের বিরুদ্ধে ভারতীয় ব্যাটারের এই ধারাবাহিক অস্বস্তি কিছুটা অবাক করার মতোও। চলতি মরশুমে তিনি লেগ স্পিনারদের বলে কয়েকবার আউটও হয়েছেন। রবি বিষ্ণোই, রাহুল চাহার, কুলদীপ যাদব তাঁকে অস্বস্তিতে ফেলেছেন। আগ্রাসী শট খেলতে গিয়েও আউট হয়েছেন। এই দিকটিতে উন্নতি করার প্রয়োজন রয়েছে। এই দুর্বল দিকটি বাদ দিলে তাঁর কিছু বিশেষ গুণ রয়েছে, আর সেগুলিই তাঁকে স্পেশ্যাল ব্যাটার করে তুলেছে।
চলতি আইপিএলে
উল্লেখ্য, চলতি আইপিএলে সর্বাধিক রান সংগ্রহকারীদের তালিকায় দ্বাদশ স্থানে রয়েছেন শ্রেয়স আইয়ার। আজ প্রথম দশেও ঢুকে পড়তে পারেন। ১২ ম্যাচে তিনি ৩৩৬ রান করেছেন, সর্বাধিক অপরাজিত ৮৭। গড় ৩৮.২২, স্ট্রাইক রেট ১৩১.৮০। তিনটি অর্ধশতরানও করেছেন। রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধে ৮৫ করার পর পাঁচটি ইনিংসে অবশ্য অর্ধশতরান আসেনি। শেষ দুটি ম্যাচে লখনউ সুপার জায়ান্টস ও মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে ৬ রানের বেশি করতে পারেননি নাইট অধিনায়ক।