আন্দ্রে রাসেলের বিস্ফোরক ইনিংসের উপর ভর করে প্রথম ব্যাটিং করে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের সামনে বড় রানের লক্ষ্য রাখল কলকাতা নাইট রাইডার্স। নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে কলকাতার রান ১৭৭/৬ (২০ ওভার)।
এ দিন প্রথম একাদশে দু'টি পরিবর্তন এনে ছিল নাইট রাইডার্স। চোট পাওয়া প্যাট কামিন্সের পরিবর্তে দলে আসেন উমেশ যাদব এবং শেলডন জ্য়াকসনের পরিবর্তে উইকেটের পিছনে এই ম্যাচে সুযোগ পান স্যাম বিলিংস। রাসেলের দাপটে বড় রান বোর্ডে রেখে কলকাতার ইনিংস শেষ হলেও, শুরুতে খুব একটা আহামরি কিছু করতে পারেনি নাইট রাইডার্স। গত ম্যাচে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে ভাল খেলা ভেঙ্কটেশ আইয়রা ফিরে যান ৭ রান করে। এর পর কেকেআর-এর ইনিংস গড়ার কাজ করেন অজিঙ্ক রাহানে (২৮) এবং নীতীশ রানা (২৬)। তবে দুই ব্যাটসম্যান শুরুটা ভাল করেও বড় ইনিংস খেলতে পারেননি।
কেকেআর-এর অধিনায়ক শ্রেয়স আইয়ার ফেরেন ১৫ রানে। এই তিনটি উইকেটই শিকার করেন উমরান মালিক। শ্রীনগর এক্সপ্রেসের গতি এবং ঠিকানা লেখা বোলিং-এর সামনে দাঁড়াতে পারেননি এই তিন তারকা। এই অবস্থায় কেকেএর-এর ইনিংসকে সামলান আন্দ্রে রাসেল এবং স্যাম বিলিংস। রাসেল শেষ পর্যন্ত টিকে ছিলেন। ২৯ বলে ৩৪ রান করেন স্যাম বিলিংস। ১৯ নম্বর ওভারে ভুবনেশ্বর কুমারের ওভারের শেষ বলের আগের বলে আউট হন তিনি। শেষ ওভারে ২০ রান করে নাইট রাইডার্স। আন্দ্রে রাসেলের সামনে কোনও প্রতিরোধই চেষ্টা করেও ঠিক মতো গড়ে তুলতে পারেননি ওয়াশিংটন সুন্দর। শেষ পর্যন্ত ২৮ বলে ৪৯ রানে অপরাজিত থাকেন রাসেল।
উমরান মালিক ৪ ওভারে ৩৩ রান খরচ করে নেন তিন উইকেট। সানরাইজার্সের হয়ে একটি করে উইকেট পেয়েছেন ভুবনেশ্বর কুমার, মার্কো জেনসন এবং টি নটরাজন। নটরাজন এবং ওয়াশিংটনকে এই ম্যাচে দলে ফিরিয়েছিল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। এই দুই বোলারই এই ম্যাচে হাত খুলে রান খরচ করেছেন। নটরাজন ৪ ওভারে ৪৩ রান খরচ করেন বিনিময়ে একটি উইকেট পান। ওয়াশিংটন সুন্দর ৪ ওভারে ৪০ রান খরত করেও একটা উইকেট পাননি।