বাংলায় এখনও নিয়ন্ত্রণে পরিস্থিতি
কয়েকটি রাজ্যে সংক্রমন বাড়লেও বাংলাতে এখন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে সংক্রমণ। দৈনিক সংক্রমণ ৫০ এর নীচেই রয়েছে। যদিও এই অবস্থায় গত কয়েকদিন আগেই করোনা নিয়ে একটা উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের সমস্ত জেলার স্বাস্থ্য আধিকারিক এবং ডাক্তারদের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। ইঠাত চতুর্থ ওয়েভ আসলে কীভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা যাবে তা নিয়ে এই বৈঠক হয়। বলে রাখা প্রয়োজন, গত কয়েকদিন আগে মোদীও বৈঠক করেন বাংলা সহ সমস্ত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে।
জোকা ম্যানেজমেন্টে করোনার থাবা
আর এর মধ্যেই জোকা ম্যানেজমেন্টে করোনার থাবা। শুক্রবারই একই বর্ষের ২৪ জন পড়ুয়া করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন। আজ সেই সংখ্যাটি বেড়ে এক ধাক্কায় ২৮। এমনটাই ম্যানেজমেন্ট সূত্রে খবর। শুধু তাই নয়, ইতিমধ্য ৫৮ জন পড়ুয়াকে আইসোলেশনে পাঠানো হয়েছে বলে খবর। তাঁদের উপর কড়া নজরদারি চালানো হচ্ছে বলে জানা যাচ্ছে। অন্যদিকে হু হু করে সংক্রমণ বাড়তে থাকায় ওই বর্ষের পঠন পাঠন পুরোপুরি বন্ধ করা হয়েছে।
স্যানিটাইজ করা হচ্ছে
সংক্রমন বাড়তে থাকায় উদ্বিগ্ন আইআইএএম জোকার আধিকারিকরা। গোটা ম্যানেজমেন্ট স্কুল ইতিমধ্যে স্যানিটাইজ করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, আপাতত বাইরের কাউকে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না জোকাতে। সমস্ত রকম ভাবে ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে জোকা ইনস্টিটিউটের তরফে। এমনটাই খবর।
সংক্রমণ বাড়তে থাকায় উদ্বিগ্ন কলকাতা পুরসভাও
আইআইএএমে হু হু করে করোনা সংক্রমণ বাড়তে থাকায় উদ্বিগ্ন কলকাতা পুরসভাও। ইতিমধ্যে ওই এলাকার উপর পুরসভার তরফে নজরদারি চালানো হচ্ছে বলে দাবি ফিরহাদ হাকিমের। শুধু তাই নয়, কনটেনমেন্ট জোন হিসাবেও ঘোষণা করা হয়েছে বলে জানান তিনি। পাশাপাশি আইআইএম কর্তৃপক্ষর সঙ্গে কথা বলে পড়ুয়াদের সবাইকে পরীক্ষা করাতে চাইছে পুরসভা। তিনদিন অন্তর বেশ কয়েকবার পরীক্ষা করাতে চাইছে পুরসভা। কিয়স্ক ক্যাম্প খোলা হতে পারে বলেও জানানো হয়েছে পুরসভার তরফে।