গান্ধী পরিবার হয়তো তাঁদের জায়াগা থেকে বেরোতে চাইছে। দলের ছত্রাছায়া তাঁদের থেকে সরাতে চাইছে কিন্তু দায়িত্ব অন্য কেউ নিতে চাইলে তবে না। ঘুরে ফিরে সেই এ গান্ধী নয় গান্ধী। রাহুল যখন রাজি হচ্ছেন না তখন এবার শোনা যাচ্ছে প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে দলের সভাপতি হিসাবে চাইছে দলের আরও নেতারা।
কংগ্রেস এই সপ্তাহে রাজস্থানের উদয়পুরে 'চিন্তন শিবির' নামে একটি তিন দিনের ব্রেনস্টর্মিং সেশনের আয়োজন করছে, যার মূল ফোকাস দলকে শক্তিশালী করা। শনিবার দলের নেতা আচার্য প্রমোদ কৃষ্ণম বলেন যে প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে দলের সভাপতি করা উচিত কারণ তিনি সবচেয়ে জনপ্রিয় মুখ। "দুই বছর ধরে রাহুল গান্ধীকে রাজি করানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। যদি তিনি প্রস্তুত না হন, প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে দলের সভাপতি করা উচিত," তিনি বলেছিলেন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন , প্রিয়াঙ্কা কতটা নিজের দক্ষতায় জনপ্রিয় তা বলা মুশকিল তবে তিনি তাঁর লুকে বেশ জনপ্রিয়। তাঁর ওই বয়কাট চুল , ধীরে কথা বলার ধরন প্রিয়দর্শিনী ইন্দিরা গান্ধীর কথা মনে করায়। আর এটাই কংগ্রেসকে ভাবাচ্ছে যে এই ইন্দিরা আবেগ ঢেলে যদি দলকে চাঙ্গা করা যায় ভোট ব্যাঙ্ককে ফের চাঙ্গা করা যায়। তাই সেই আবারও সেই গান্ধী পরিবারেই যেন দায়িত্ব যেতে চলেছে কংগ্রেসের।
তিনি নিয়মিতভাবে তার মা এবং ভাইয়ের নির্বাচনী এলাকা রায়বেরেলি এবং আমেঠিতে যেতেন যেখানে তিনি সরাসরি মানুষের সাথে কথা বলতেন। ২০০৪ সালের ভারতীয় সাধারণ নির্বাচনে, তিনি তার মায়ের প্রচার ব্যবস্থাপক ছিলেন এবং তার ভাই রাহুল গান্ধীর প্রচারণার তত্ত্বাবধানে সাহায্য করেছিলেন। ২০০৭ সালের উত্তর প্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনে, রাহুল গান্ধী যখন রাজ্যব্যাপী প্রচার পরিচালনা করেছিলেন, তখন তিনি আমেঠি রায়বেরেলি অঞ্চলের দশটি আসনের দিকে মনোনিবেশ করেছিলেন, সেখানে আসন বরাদ্দ নিয়ে দলের কর্মীদের মধ্যে যথেষ্ট অন্তর্দ্বন্দ্ব প্রশমিত করার চেষ্টা করে দুই সপ্তাহ কাটিয়েছিলেন।
২৩ জানুয়ারী, ২০১৯-এ, প্রিয়াঙ্কা গান্ধী আনুষ্ঠানিকভাবে রাজনীতিতে প্রবেশ করেন, উত্তরপ্রদেশের পূর্ব অংশের দায়িত্বে কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক নিযুক্ত হন। তিনি ১১ সেপ্টেম্বর ২০২০তে সমগ্র উত্তর প্রদেশের সাধারণ সম্পাদক ইনচার্জ নিযুক্ত হন। ২০২১ সালের অক্টোবরে, গান্ধীকে পুলিশ আটক করেছিল, যিনি পুলিশ হেফাজতে মারা যাওয়ার অভিযোগে একজন ব্যক্তির পরিবারের সদস্যদের সাথে দেখা করতে আগ্রা যাওয়ার পথে সমাবেশে নিষেধাজ্ঞার উল্লেখ করেছিলেন।
প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ২৩ অক্টোবর ২০২১-এ বারাবাঙ্কি থেকে কংগ্রেস পার্টির উত্তর প্রদেশ নির্বাচনী প্রচার শুরু করেছিলেন৷ কংগ্রেস পার্টি গান্ধীর নেতৃত্বে ২০২২ সালের উত্তর প্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনে লড়াই করেছিল কিন্তু লাভ হয়নি , সল ব্যাপকভাবে হেরেছিল। তারপরেও তাঁর দিকেই এগোচ্ছে কংগ্রেস।