লখনউ সুপার জায়ান্টস
আইপিএলের পয়েন্ট তালিকার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে লখনউ সুপার জায়ান্টস। ১২ ম্য়াচে লোকেশ রাহুলের দলের রয়েছে ১৬ পয়েন্ট। নেট রান রেট ০.৩৮৫। কাল রাজস্থান রয়্যালস ও ১৮ মে কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিরুদ্ধে লখনউয়ের ম্যাচ বাকি। একটিতে জিতলেই প্লে অফে পৌঁছে যাবে লখনউ। লখনউ ও রাজস্থান রয়্যালস ছাড়া কারও আর কেউ ১৮ পয়েন্টে পৌঁছানোর অবস্থায় নেই। লিগ পর্বের এক ও দুই নম্বর দলই ইডেনে খেলবে প্রথম কোয়ালিফায়ার। সেই ম্যাচটি গুজরাত ও লখনউয়ের মধ্যেই হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
রাজস্থান রয়্যালস
সঞ্জু স্যামসনের নেতৃত্বাধীন রাজস্থান রয়্যালস রয়েছে পয়েন্ট তালিকার তিনে। ১২ ম্যাচে ১৪ পয়েন্ট, নেট রান রেট ০.২২৮। ফলে লখনউ বনাম রাজস্থান ম্যাচে যেই জিতুক না কেন তারা কার্যত শেষ চার নিশ্চিত করে ফেলতে পারবে। তবে রাজস্থান হেরে গেলে সমস্যার। কেন না, বর্তমানে একাধিক দল ১৬ পয়েন্টে পৌঁছে যেতে পারে। সেক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ নেট রান রেট। রাজস্থান রয়্যালস ও লখনউ সুপার জায়ান্টস ম্যাচটি প্লে অফের দৌড়ের চিত্রটা আরও পরিষ্কার করে দিতে পারে। রাজস্থান শেষ ম্যাচ খেলবে সিএসকের বিরুদ্ধে, ২০ মে। বড় ব্যবধানে না হারলে রয়্যালসের নেট রান রেট পজিটিভেই থাকবে। আর সেটা নিশ্চিত করে দিতে পারে প্লে অফের জায়গা।
রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর
রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর এখনও চতুর্থ স্থান ধরে রেখেছে। তবে পাঞ্জাব কিংসের কাছে হারায় নেট রান রেট মাইনাস (-) ০.১১৫ থেকে পৌঁছে গিয়েছে মাইনাস (-)০.৩২৩-এ। শেষ ম্যাচে গুজরাত টাইটান্সকে যদি আরসিবি হারায় তাহলে পয়েন্ট হবে ১৪ ম্যাচে ১৬। কিন্তু ১৬ পয়েন্টে পৌঁছালেও নেট রান রেটই বিরাটদের ছিটকে দিতে পারে টুর্নামেন্ট থেকে। শেষ ম্যাচ যদি ২০০ রান তোলে আরসিবি ১০০ রানের ব্যবধানে জেতে তাহলে তাদের নেট রান পৌঁছাবে ০.০৭১-এ! আরসিবির সামনে সুযোগ নেই তা নয়। তবে অনেক যদি-কিন্তুর উপর নির্ভরশীল। শেষ ম্যাচ জিততে হবে এবং প্রার্থনা করতে হবে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ ও পাঞ্জাব কিংস যেন একটি করে ম্যাচে হেরে যায় এবং ১৪ পয়েন্টে থেকে লিগ শেষ করে।
দিল্লি ক্যাপিটালস
ঋষভ পন্থের দিল্লি ক্যাপিটালসের ঝুলিতে ১২ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট। নেট রান রেট ০.২১০। বাকি দুটি ম্যাচ জিতলে পন্থরা পৌঁছাতে পারবেন ১৬ পয়েন্টে। সেক্ষেত্রে নেট রান রেট ভালো থাকা দিল্লির প্লে অফের পথ মসৃণ করে দিতেই পারে। সোমবার পাঞ্জাব কিংসের সামনে দিল্লি ক্যাপিটালস। দুই দলের কাছেই এই ম্যাচটির গুরুত্ব অপরিসীম। ২১ মে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে দিল্লি শেষ ম্যাচ খেলবে। আরসিবি ও রাজস্থান রয়্যালস নিজেদের সব ম্যাচ হেরে গেলে তৃতীয় দল হিসেবেও প্লে অফে চলে যেতে পারে দিল্লি ক্যাপিটালস। কারণ আরসিবি ও রাজস্থান সেক্ষেত্রে দাঁড়িয়ে থাকবে ১৪ পয়েন্টেই। ধরা যাক, দিল্লি একটি জিতল, একটিতে হারল। তাতেও নেট রান রেট মাইনাসে আসবে না। ফলে প্লে অফে যেতেই পারে দিল্লি।
পাঞ্জাব কিংস
আরসিবিকে হারিয়ে আট থেকে এক লাফে ছয়ে উঠে এসেছে পাঞ্জাব কিংস। ১২ ম্যাচে দিল্লির মতো তাদেরও রয়েছে ১২ পয়েন্ট। আরসিবি ম্যাচের আগে ময়াঙ্ক আগরওয়ালের দলের নেট রান রেট ছিল (-০.২৩১), সেটা ৫৪ রানে জেতার ফলে চলে এসেছে পজিটিভে (০.০২৩)। ১৬ মে দিল্লি ক্যাপিটালস ও ২২ মে সানরাইার্স হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে ম্যাচ রয়েছে পাঞ্জাবের। সানরাইজার্স আর কেকেআরকে হারিয়ে দিলে তাদেরও ১২ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট হয়ে যাবে। পাঞ্জাব কিংস যদি শেষ দুটি ম্যাচেই জেতে তাহলে দিল্লি ও সানরাইজার্স কোনওভাবেই ১৪ পয়েন্টের বেশি যেতে পারবে না। এই অবস্থায় যদি দেখা যায় পাঞ্জাব ও আরসিবি ১৬ পয়েন্টে পৌঁছাল এবং তাদের মধ্যে কোনও একটি দল শেষ চারে যাবে সেক্ষেত্রে বিরাটদের টেক্কা দেবে পাঞ্জাব নেট রান রেটের নিরিখেই।
সানরাইজার্স হায়দরাবাদ
১১ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে আপাতত সপ্তম স্থানে রয়েছে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। কেন উইলিয়ামসনরা সব ম্যাচ জিতলে পৌঁছাবেন ১৬ পয়েন্টে। কিন্তু নেট রান রেটের দিকে তাদের নজর দিতেই হবে। কেন না, একাধিক দল ১৬ পয়েন্টে থাকলে গুরুত্বপূর্ণ হবে নেট রান রেটের বিষয়টি। কেকেআর ম্যাচের পর ১৭ মে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স ও ২২ মে পাঞ্জাব কিংসের বিরুদ্ধে খেলবে অরেঞ্জ আর্ম। দিল্লি ক্যাপিটালস যদি শেষ দুটি ম্যাচে পরাস্ত হয়, তাহলে সানরাইজার্স সব ম্যাচ জিতে শেষ চারে জায়গা করে নিতেও পারে।