যাঁদের নাম উঠে এসেছিল
বিপ্লব দেব ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী পদে ইস্তফা দেওয়ার পরে পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে বেশ কয়েকটি নাম উঠে এসেছিল। তাঁদের মধ্যে ছিলেন বর্তমান উপমুখ্যমন্ত্রী যিষ্ণু দেববর্মা, রাজ্যসভার সাংসদ রাজ্য বিজেপির সভাপতি মানিক সাহা, কৃষ্ণপুরের বিধায়ক অতুল দেববর্মা, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রতিমা ভৌমিক এবং রাজ্যের পর্যটন মন্ত্রী প্রাণজিৎ সিনহা রায়ের নাম।
এগিয়ে ছিলেন মানিক সাহাই
সূত্রের খবর অনুযায়ী ত্রিপুরার পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে এগিয়ে ছিলেন, রাজ্য বিজেপির সভাপতি মানিক সাহা। তাঁর নাম ঠিক করে রেখেছিল বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। বিজেপি বিধায়কদের বৈঠকে সেই নাম ঘোষণা করা হয়। । তবে সরকারিভাবে কোনও নাম এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ঘোষণা করা হয়নি।
বিজেপি সূত্রে খবর, বিপ্লব দেবকে নিয়ে রাজ্য বিজেপির সংগঠনে সমস্যা তৈরি হয়েছিল। তা মেরামত করতে মানিক সাহাকেই বেছে নেওয়া হয়। রাজ্যের সংগঠনেও তাঁর দখল রয়েছে। মানিক সাহা বিধায়ক না হলেও মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার ছয়মাসের মধ্যে তাঁকে জিতে আসতে হবে।
কেন্দ্রে মন্ত্রী করা হতে পারে বিপ্লব দেবকে
মানিক সাহা রাজ্যসভার সাংসদ। সেক্ষেত্রে তিনি ইস্তফা দিলে বিপ্লব দেবকে সেই আসনে জিতিয়ে আনা হবে। তাঁকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী করা হতে পারে বলেও জানা গিয়েছে। তাঁকে ত্রিপুরা বিজেপির সভাপতিও করা হতে পারে বলে একটি সূত্রের খবর। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার আগে সেই পদেই ছিলেন বিপ্লব দেব। শুক্রবারই বিপ্লব দেব দিল্লিতে গিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করেন। এরপর এদিন দিল্লি থেকে ফিরেই সরাসরি চলে যান রাজভবনে। সেখানে তিনি একলাইনের একটি ইস্তফাপত্র জমা দেন।
একাংশের দাবি ছিল যিষ্ণু দেববর্মাকে নিয়ে
তবে রাজ্য বিজেপির একাংশের দাবি ছিল বর্তমান উপমুখ্যমন্ত্রী ষিষ্ণু দেববর্মাকে মুখ্যমন্ত্রী করার জন্য। রাজ্যে সিপিএমের দশরথ দেব প্রথম উপজাতি মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। বিজেপির একাংশের বক্তব্য, ২০২৩-এর আগে যিষ্ণু দেববর্মাকে মুখ্যমন্ত্রী করা হলে উপজাতি ভোটে বড় প্রভাব ফেলতে পারত বিজেপি। সেই অংশের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী ২০১৮-তে বিজেপি উপজাতিদের ভোট ভালই পেয়েছিল।