কলকাতা নাইট রাইডার্স:
মরসুমের সেরা খেলাটি হয়তো কেকেআর খেলে নিয়েছে শেষ ম্যাচে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে। রোহিত শর্মার দলের বিরুদ্ধে ১৬৬ রানে গুটিয়ে যাওয়ার পর, মুম্বইকে তাদেরই মাঠে কেকেআর গুঁড়িয়ে দেয় ১১৩ রানে। নাইট রাইডার্সের বোলারদের জিজ্ঞাসা করা একের পর এক প্রশ্নের কোনও জবাব ছিল না রোহিত শর্মা-কাইরন পোলার্ডদের সামনে। এই জয়ের ফলে লিগ টেবলের সপ্তম স্থানে জায়গা করে নেয় নাইট রাইডার্স। টুর্নামেন্টে এখনও টিকে থাকার যেটুকু আশা রয়েছে সেইটুকু জিইয়ে রাখতে হলেও এই ম্যাচে জয় প্রয়োজন, হার মানেই শেষ সমস্ত ক্ষীন সম্ভবনা। এমন গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে নামার আগে বিরাট ধাক্কা খেয়েছে কলকাতা নাইট রাইডার্স। প্রতিযোগীতা থেকে ছিটকে গিয়েছেন তারকা পেসার প্যাট কামিন্স।
সানরাইজার্স হায়দরাবাদ:
এই মরসুমে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ-এর নাম একটু পরিবর্তন করে 'ধারাবাহিকতা হায়দরাবাদ' বললেও ভুল হবে না। কারণ যখন যেটা করেছে ধারাবাহিকতার সঙ্গে করেছে এসআরএইচ। প্রথম দুই ম্যাচে তারা পরাজিত হয়েছে। এর পরবর্তী দুই ম্যাচে টানা জিতেছে তারা। আবার তার পর থেকে হারের যে ধারা সানরাইজার্স হ্য়দরাবাদ ধরে রেখেছে তা এখনও অটুট। ২৩ এপ্রিল শেষ বার এসআরএইচ জিতেছিল। সেই ম্যাচটি তারা খেলেছিল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের বিরুদ্ধে। এই মরসুমে কলকাতাকে প্রথম সাক্ষাতে হারিয়েছিল হায়দরাবাদ। কেকেআর-এর মতোই মাস্ট উইন ম্যাচ এইটি হায়দরাবাদের জন্য। হায়দরাবাদের জন্য সব থেকে বড় চিন্তাপ বিষয় হল অধিনায়ক উইলিয়ামসনের ফর্ম। তাঁকে ব্যাট হাতে ঘুরে দাঁড়াতেই হবে কলকাতা ম্যাচ সহ পরবর্তী তিন ম্যাচে। একটা হার মানেই প্লে-অফের দৌড় থেকে হায়দরবাদের প্রস্থান নিশ্চিত।
লিগ টেবলে দুই দলের অবস্থান:
১১ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে লিগ তালিকার ৭ নম্বরে রয়েছে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। তারা জিতেছে পাঁচটি ম্যাচে এবং হেরেছে ছয়টি ম্যাচে। ১২ ম্যাচে দশ পয়েন্ট নিয়ে নাইট রাইডার্সের অবস্থান অষ্টম স্থানে। নাইটরাও জিতেছে পাঁচটি ম্যাচে, তবে তারা পরাজিত হয়েছে ৭টি ম্যাচে। এই ম্যাচে যেই দল হারবে সেই দলই ছিটকে যাবে প্লে-অফের দৌড় থেকে।
পিচ রিপোর্ট:
শেষ দুই ম্যাচে দেখা গিয়েছে পুনের মহারাষ্ট্র ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের মাঠে যে দল দ্বিতীয় ব্যাটিং করেছে তারা সমস্যার সম্মুখীন হয়েছে। কারণ দ্বিতীয়ার্ধে উইকেট খেলার জন্য অনেকটাই কঠিন হচ্ছে। শেষ দু'টি ম্যাচেই যেই দল প্রথমে ব্যাটিং করেছে সেই দল জিতেছে। এই মাঠে শেষ ম্যাচটি হয়েছিল লখনউ সুপার জায়ান্ট এবং গুজরাত টাইটানসের মধ্যে। সেই ম্যাচে গুজরাত প্রথমে ব্যাটিং করে পুরো দুই পয়েন্ট তুলে নিয়েছিল। এই উইকেট পেসারদের থেকে অনেক বেশি সহায়তা করবে স্পিনারদের। এমসিএ-তে বড় রানের ম্যাচ খুব কম হয়েছে। এই পিচে গড় রান ১৬৬-১৭৬।
আবহাওয়ার খবর:
স্বস্তিদায়ক পরিবেশেই হতে চলেছে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ বনাম কলকাতা নাইট রাইডার্স ম্যাচ। মহারাষ্ট্রের স্বাভাবিক যা তাপমাত্রা তা থেকে কিছুটা কমই থাকবে পারদ। ম্যাচের সময়ে ২৫-৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা থাকার কথা। বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই।