শুক্রবার সন্ধ্যায় পশ্চিম দিল্লির মুন্ডকা এলাকায় একটি চার তলা বাণিজ্যিক ভবনে ব্যাপক অগ্নিকাণ্ডে ২৭ জন নিহত হয়েছেন এবং ১২ জন আহত হয়েছেন। আগুনের শিখা বন্ধ হয়ে যাওয়ার সাথে সাথে, ভয়ার্ত লোকেরা তাদের জীবন বাঁচাতে জানালা থেকে লাফ দেন বলে ভিডিওগুলিতে দেখা যায়৷
যে কারখানায় আগুনের সূত্রপাত হয়েছিল সেই কারখানার মালিক দুজনকেই দিল্লি পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে ৷ তৃতীয় মালিক পলাতক। দিল্লি ফায়ার সার্ভিসের প্রধানের মতে, কারখানাটির প্রয়োজনীয় ছাড়পত্র ছিল না এবং ফায়ার এনওসি ছাড়াই কাজ করছিল।
বর্তমানে ১৯ জন নিখোঁজ রয়েছে। তাদের খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে। উদ্ধারকর্মীরা ভবনটির ধ্বংসাবশেষের নিচে পুড়ে যাওয়া দেহাবশেষও খুঁজে পেয়েছেন। ফরেনসিক সায়েন্স ল্যাবরেটরি, দিল্লির একটি দল মৃতদের শনাক্ত করতে ডিএনএ পরীক্ষা করবে।
দিল্লিতে এই ভয়ঙ্কর ঘটনা কীভাবে শুরু হয়েছিল তার পুরো ঘটনাক্রম দেখে নেওয়া যাক:
দুপুর ১টা: প্রত্যেকদিন যেমন কাজ চলে তেমন ভাবেই কাজ চলছিল। যে বাড়িটিতে এই বিধ্বংসী আগুন লাগে সেখানে বেশ কয়েকটি অফিস ও কারখানা রয়েছে। দোতলায় ভাড়াটে কোম্পানিগুলোর মধ্যে একটি বিশেষ বৈঠক করছিল। মোটের উপর ব্যস্ত দিন যেমন হয় তেমনই এগোচ্ছিল।
বিকেল সড়ে চারটে: বাড়ির প্রথম তলা থেকে ধোঁয়া উঠতে দেখা যায়, সর্বত্র চিৎকার। পুলিশ ও ফায়ার ব্রিগেডকে উদ্ধারে ডাকা হয়েছে। ভবনের লোকজন পালানোর জন্য ঝাঁপিয়ে পড়ে।
বিকেল ৪.৪০-৪.৪৫ : কেউ কেউ ইতিমধ্যেই দ্রুত ছড়িয়ে পড়া আগুনে আটকা পড়েছিল। পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার ও আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে।
বিকেল ৫ টা : আরও বেশি দমকল টেন্ডার ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। লোকেরা তাদের বন্ধু এবং আত্মীয়দের সন্ধান করতে জড়ো হয়েছিল।
সন্ধ্যা ৬.২০ : প্রায় ৪৫ বছর বয়সী এক মহিলার মৃতদেহ পাওয়া যায়। আগুন নেভানোর কাজ চলতে থাকে। অ্যাম্বুলেন্সগুলি পিছু পিছু গিয়ে আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যায়।
রাত ১০.৫০ মিনিট : আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়ে এবং কুলিং অপারেশন করা হয়েছে
শুরু
প্রায় এই সময়ে, ফায়ার ব্রিগেড মোট ১৬ জনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে। ধীরে ধীরে সংখ্যা বাড়তে থাকে, এরপর ডিসিপি জানান মোট ২৭ জন মারা গেছেন।
রাত ১১.৪০ মিনিট: প্রথম তলায় আবার আগুন দেখা দেয় এবং নিভিয়ে ফেলা হয়।
মধ্যরাত্রি: সার্চ অপারেশন এবং কুলিংয়ের কাজ একযোগে চলল।
রাত ২.০০ মিনিট: অবশেষে কুলিংয়ের কাজ শেষ হয়।